-জানো খুব মন খারাপ লাগছে আমার,
-কেনো?
-জানিনা তো। শুধু জানি ভালো লাগছেনা।
-কি করতে ইচ্ছে করছে?
-হারিয়ে যেতে।
-হারিয়ে যেতে?
-কোথায়?কার থেকে হারিয়ে যাবে?
-কোথায় জানিনা, হয়তো অচেনা কোনো শহড়ে, এমন এক দেশে যেখানে মানুষ গুলো অপরিচিত,ভাষা অপরিচিত। তারা কি বলছে আমি বুঝবো না,আমি কি বলছি তাঁরা বুঝবে না। একটা মজা আছে এতে।
-তুমি আসলে পাগল হয়ে গেছো।
-না আমি সত্যি হারিয়ে যেতে চাই,আমার এ পরিচিত মুখ,আর মুখোশ গুলো ভালো লাগছেনা। নিয়ে যাবে আমায়?
-আমাকে নিয়ে হারাতে চাও? কই সে কথা টা তো আগে বলো নি ?
-আমি তো এটাও বলিনি যে আমি একা হারাতে চাই,কি বলেছি?
-না তা বলো নি কিন্তু মনে হচ্ছিলো তুমি বোধয় সব ছেড়ে ছুরে নির্বাসনে যেতে চাচ্ছো ।
-নির্বাসন বলছো কেনো?আমি শুধু এক অচেনা দেশে,অচেনা শহরে তোমার সাথে হারিয়ে যেতে চাই। খুব কি অসম্ভব তা?
-না,তা না। কই যাবে?
-তুমি যেখানে নিয়ে যাবে সেখানেই যাবো। শুধু আমায় কোথায় নিয়ে যাচ্ছো তা বলো না।
-সে কি?আমরা কি পালাচ্ছি ?
-হুম, পালাচ্ছিই তো।
-কি থেকে,কার থেকে, কোথা থেকে ?
-বড্ড প্রশ্ন করো তুমি। পালাবে কিনা বলো ?
-এভাবে? কোনো কিছু চিন্তা না করেই ?
-আমি না তোমার সাথে থাকলে তুমি আর কিছুই চিন্তা করো না ?
-বুঝলাম।
-কি বুঝলে শুনি?
-ব্যাগ কি গুছিয়েছো নাকি সেটা এখনো বাকি আছে?
- ইয়ে :D
-পাহাড় না সমুদ্র?
-দুটোই
-আকাশ না মেঘলা আকাশ ?
-মেঘলা আকাশ ।
-শহড় না গ্রাম ?
-কুড়ে ঘর!
-একটা শর্ত?
-সেটা কি ?
-না এখন না,পড়ে বলবো ।
দুজন সত্যি হারিয়ে গেলো, পাহাড়ের দেশে,সমুদ্রের পারে এক কুড়ে ঘরের নীড়ে বাসাও বাঁধল। সেখানে ভোর বেলা পাখিরা এসে তাদের ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিয়ে যায় আর বিকেলে সন্ধ্যে নামানো লালচে সূর্য টা তাদের অজানা গল্প শুনিয়ে যায়।মেঘলা আকাশ কোনো নোটিস ছাড়াই তাদের ভিজিয়ে দিয়ে যায়। পাহাড়ের ঝরনা ধাঁরায় তাদের যতো দুস্টমি আর রাতের চাঁদ মামা তাদের ঘুম পারানো গান শুনিয়ে কোন সে তারার দেশে যে নিয়ে যায় তা আর বলে বোঝানো সম্ভব না।মেয়েটি যখন ছেলেটির কোলে মাথা দিয়ে ঘুম দেয় কোথা থেকে যেনো এক অচেনা তবু খুব চেনা সুর ভেসে আসে, দেখতে দেখতে ভোর হয়ে যায়। ঘুম ভেঙ্গে বালিকা দেখে বালক তার উপরেই শুয়ে আছে,বালকের বাহুডরে বালিকার হাত আবার বালিকার হাতের মুঠোয় বালকের হাত। বালিকা চুপ করে হাত সরিয়ে আস্তে করে সরে আসে মনে হয় একটু এদিক সেদিক হলেই মধুর ঘুম টি ভেঙ্গে যাবে বালকের যে ঘুম পৃথিবীর সব কিছু থেকেও দামি এ মুহূর্তে।
-তারপর ?
-তারপর তাদের ঘুম ভেঙ্গে যায়, তারা ফিরে আসে একদিন ।
-ফিরতে তো হলোই
-ফিরতে তো হয়ই,তাইনা?কিন্তু হারিয়ে যাওয়া মুহূর্ত গুলো তো থেকে গেলো ?
-আচ্ছা শর্ত টা কি ছিলো ?
-না, তুমি তো শর্ত ভাঙ্গো নি তাই তা বলার প্রয়োজনই হয়নি।
-কি ছিলো বলো না?
-ভেবে দেখো । আমি যাই তোমার জন্য কফি বানিয়ে আনি।
-আহা,তুমি যাবে কেনো? আমিই যাই।
-থাক,আজ আমিই বানিয়ে আনি,তুমি না হয় শর্ত নিয়ে একটু চিন্তা করো ।
বালিকা চিন্তা করতে থাকলো,বালক তার জন্য কফি বানাতে গেলো ! তাঁরা চেনা পরিচিত শহরেই,পরিচিত ভাষা তেই রয়ে গেলো তবু তাদের নিজেদের ভুবন টা কেনো যেনো সবার থেকে অচেনা,আলাদা,অন্যরকম হয়ে রইলো
-কেনো?
-জানিনা তো। শুধু জানি ভালো লাগছেনা।
-কি করতে ইচ্ছে করছে?
-হারিয়ে যেতে।
-হারিয়ে যেতে?
-কোথায়?কার থেকে হারিয়ে যাবে?
-কোথায় জানিনা, হয়তো অচেনা কোনো শহড়ে, এমন এক দেশে যেখানে মানুষ গুলো অপরিচিত,ভাষা অপরিচিত। তারা কি বলছে আমি বুঝবো না,আমি কি বলছি তাঁরা বুঝবে না। একটা মজা আছে এতে।
-তুমি আসলে পাগল হয়ে গেছো।
-না আমি সত্যি হারিয়ে যেতে চাই,আমার এ পরিচিত মুখ,আর মুখোশ গুলো ভালো লাগছেনা। নিয়ে যাবে আমায়?
-আমাকে নিয়ে হারাতে চাও? কই সে কথা টা তো আগে বলো নি ?
-আমি তো এটাও বলিনি যে আমি একা হারাতে চাই,কি বলেছি?
-না তা বলো নি কিন্তু মনে হচ্ছিলো তুমি বোধয় সব ছেড়ে ছুরে নির্বাসনে যেতে চাচ্ছো ।
-নির্বাসন বলছো কেনো?আমি শুধু এক অচেনা দেশে,অচেনা শহরে তোমার সাথে হারিয়ে যেতে চাই। খুব কি অসম্ভব তা?
-না,তা না। কই যাবে?
-তুমি যেখানে নিয়ে যাবে সেখানেই যাবো। শুধু আমায় কোথায় নিয়ে যাচ্ছো তা বলো না।
-সে কি?আমরা কি পালাচ্ছি ?
-হুম, পালাচ্ছিই তো।
-কি থেকে,কার থেকে, কোথা থেকে ?
-বড্ড প্রশ্ন করো তুমি। পালাবে কিনা বলো ?
-এভাবে? কোনো কিছু চিন্তা না করেই ?
-আমি না তোমার সাথে থাকলে তুমি আর কিছুই চিন্তা করো না ?
-বুঝলাম।
-কি বুঝলে শুনি?
-ব্যাগ কি গুছিয়েছো নাকি সেটা এখনো বাকি আছে?
- ইয়ে :D
-পাহাড় না সমুদ্র?
-দুটোই
-আকাশ না মেঘলা আকাশ ?
-মেঘলা আকাশ ।
-শহড় না গ্রাম ?
-কুড়ে ঘর!
-একটা শর্ত?
-সেটা কি ?
-না এখন না,পড়ে বলবো ।
দুজন সত্যি হারিয়ে গেলো, পাহাড়ের দেশে,সমুদ্রের পারে এক কুড়ে ঘরের নীড়ে বাসাও বাঁধল। সেখানে ভোর বেলা পাখিরা এসে তাদের ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিয়ে যায় আর বিকেলে সন্ধ্যে নামানো লালচে সূর্য টা তাদের অজানা গল্প শুনিয়ে যায়।মেঘলা আকাশ কোনো নোটিস ছাড়াই তাদের ভিজিয়ে দিয়ে যায়। পাহাড়ের ঝরনা ধাঁরায় তাদের যতো দুস্টমি আর রাতের চাঁদ মামা তাদের ঘুম পারানো গান শুনিয়ে কোন সে তারার দেশে যে নিয়ে যায় তা আর বলে বোঝানো সম্ভব না।মেয়েটি যখন ছেলেটির কোলে মাথা দিয়ে ঘুম দেয় কোথা থেকে যেনো এক অচেনা তবু খুব চেনা সুর ভেসে আসে, দেখতে দেখতে ভোর হয়ে যায়। ঘুম ভেঙ্গে বালিকা দেখে বালক তার উপরেই শুয়ে আছে,বালকের বাহুডরে বালিকার হাত আবার বালিকার হাতের মুঠোয় বালকের হাত। বালিকা চুপ করে হাত সরিয়ে আস্তে করে সরে আসে মনে হয় একটু এদিক সেদিক হলেই মধুর ঘুম টি ভেঙ্গে যাবে বালকের যে ঘুম পৃথিবীর সব কিছু থেকেও দামি এ মুহূর্তে।
-তারপর ?
-তারপর তাদের ঘুম ভেঙ্গে যায়, তারা ফিরে আসে একদিন ।
-ফিরতে তো হলোই
-ফিরতে তো হয়ই,তাইনা?কিন্তু হারিয়ে যাওয়া মুহূর্ত গুলো তো থেকে গেলো ?
-আচ্ছা শর্ত টা কি ছিলো ?
-না, তুমি তো শর্ত ভাঙ্গো নি তাই তা বলার প্রয়োজনই হয়নি।
-কি ছিলো বলো না?
-ভেবে দেখো । আমি যাই তোমার জন্য কফি বানিয়ে আনি।
-আহা,তুমি যাবে কেনো? আমিই যাই।
-থাক,আজ আমিই বানিয়ে আনি,তুমি না হয় শর্ত নিয়ে একটু চিন্তা করো ।
বালিকা চিন্তা করতে থাকলো,বালক তার জন্য কফি বানাতে গেলো ! তাঁরা চেনা পরিচিত শহরেই,পরিচিত ভাষা তেই রয়ে গেলো তবু তাদের নিজেদের ভুবন টা কেনো যেনো সবার থেকে অচেনা,আলাদা,অন্যরকম হয়ে রইলো
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন