সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৩

বৃষ্টি ভেজা রাত !! (ডায়রির পাতা থেকে)

নয়ন সমুখে তুমি নাই
নয়নের মাঝখানে নিয়েছ যে ঠাই
আজি তাই
শ্যামলে শ্যামলে তুমি, নিলিমায় নীল ।
আমার নিখিল তোমাতে পেয়েছে তাঁর অন্তরের মিল...
নাহি জানি, কেহ নাহি জানি
তব সুর বাজে মোর গানে,

কবির অন্তরে,তুমি কবি
নও ছবি, নও ছবি... নও শুধু ছবি.........


রাতভর জেগে থাকা  আমার এক সময়কার অভ্যাস থাকলেও এখন তা রোগে পরিনত হয়ে গেছে।  তবে আজ রাত একটু ভিন্ন !! রাত ভরে আকাশ দেখতেও আমার অনেক ভালো লাগে !! একা মানুষ গুলো অনেকটা এমনি হয়...কারন তাদের একাকীত্ব জীবন টায় তাঁরা অনেক বেশী অগোছালো থাকে।  অনেকদিন হয় আকাশ দেখি না !! কারন হয়তো আগের মতো আর সপ্নে বাস করিনা... তাই আকাশ দেখা হয়ে ওঠেনা... কিন্তু আজ অনেকদিন পর রাতের আকাশ দেখছিলাম...
আকাশ দেখতে সবারি ভালো লাগে... সত্যি বলতে মনের শত আবেগ আর কষ্ট গুলো এক ভারী নিঃশ্বাস হয়ে বের হয়ে যায় যখন আমরা আকাশ পানে তাকাই !!
আজকের আকাশ বোধয় একটু বেশী উদাসী !!


তবে দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগছে... এ ভালোলাগার অনুভবকে আসলে কি বলে আখ্যায়িত করা যায় খুঁজে পাচ্ছিনা। আষাঢ়ের রাতের আকাশের এটাই এক মজার অনুভুতি !!
আজ আবার চাঁদও উঠেছে আর সে চাঁদ কে অনবরত অতিক্রম করে চলছে কিছু সাদা-কালো মেঘ,মেঘগুলো চাঁদের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে যা দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছিলো আর চারপাশে বইছে পাগলা হাওয়ার মতো বাতাস। অচেনা-অশান্ত বাতাস !
হঠাৎ করেই বুঝতে পারলাম আকাশের চাঁদটি আর বেশিক্ষন টিকছেনা !! মেঘ গুঁড় গুঁড় শব্দে আকাশ অনেক বেশী আবেগি হয়ে উঠেছে !!
তবে কি আজ, আমার মতো আকাশেরও মন খারাপ ?? ভালোই হলো, আষাঢ়ের রাতের বৃষ্টি এর কথা আর কি বলবো !! আসুক......

বেশিক্ষন অপেক্ষা করতে হলো না... শুরু হয়ে গেলো বৃষ্টি...
আষাঢ়ের প্রথম রাতভর বৃষ্টি !! আর এ বৃষ্টি থামার নয়......
এবার আষাঢ়ের আগমনে আমি সত্যি অনেক ক্ষোভভরা মনে ছিলাম,তাই বোধয় আমার সাথে ভাব জমাবার জন্যই হঠাৎ এভাবে বৃষ্টির আগমন !! বৃষ্টির প্রতি যে ক্ষোভ দেখিয়েছিলাম তা এখন একদমি নেই !!

মনটা ভয়ানক খারাপ হয়ে ছিলো...তাঁর উপর আবার আব্বু-আম্মুর অকারনেই আমার উপর তাদের অন্য বিষয়ের ক্ষোভ ঢালা ঝারি নিয়ে অনেকটা বেশী আওলা-ঝাওলা হয়ে অন্যমানষকই ছিলাম !!
ভাবছিলাম... মানুষের জীবন আসলে আষাঢ়ের মতই !! এই বৃষ্টিহীন আকাশে অসহ্য রোদের তাপ,রাতে চাঁদের সাথে সাদা-কালো মেঘের ভাব আবার হঠাৎ করেই কালো মেঘের আগমনে চিৎকার করে কান ফাটিয়ে আকাশের কান্না হয়ে বৃষ্টির আগমন !!
মানুষের জীবনে অনেক কষ্টই থাকে... কেও প্রকাশ করে আবার কেও প্রকাশ করতে পারেনা। আমি দ্বিতীয় গোত্রের মধ্যেই পড়ি আর এই দ্বিতীয় গোত্রের মানুষদের অবস্থা আসলেই অনেক করুন ! কারন না আছে তাদের চারিপাশে কেও আর না পারে তাঁরা মন খুলে কথা বলে মনের সবটুকু ঢেলে কথা বলতে। মনের কষ্ট গুলো চাপা দিতে দিতে তারা নিজেরাই একসময় এক অচেনা গহব্বরে হারিয়ে যায় যে নিজেকেই আর খুঁজে পায়না তারা ।

আকাশের সাদা মেঘ গুলোর পাশে যখন কালো মেঘগুলো এসে জমা হতে হয় ধিরে ধিরে তখন আকাশের সাদা মেঘগুলো সরে যায় এবং সেখানে কালো মেঘগুলো দখল নেয় ফলে পুরো আকাশটা তখন অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে যায় কিন্তু যখন কালো মেঘগুলো খুব ভয়নক অন্ধকার আঁধার বয়ে আনে তখন আকাশে বৃষ্টি নামে ।
কারন ঐ কালো মেঘগুলো থাকে আকাশের কষ্টের প্রতীক যা সাদা মেঘ গুলোকে সড়িয়ে দেয় এবং কষ্টের বাঁধ ভেঙ্গে যায় যখন আকাশের মেঘেরা তাদের কান্না থামাতে পারেনা,নেমা আসে বৃষ্টি !!
অবিরাম সে বৃষ্টি হয়তো অনেক্ষন চলে কিন্তু তা থেমেও যায় !! কিন্তু এ থেমে যাওয়ার মানেই কি সব থেমে যাওায়া ? সব শেষ হয়ে যাওয়া ?
অনেক কষ্টই আছে মানুষকে বয়ে চলতে হয়...হাজার চাইলেও সে অপ্রিয় সত্য কষ্ট গুলো মানুষকে খুরে খুরে খায় প্রতি নিয়ত।

একা মানুষগুলো অনেকটা অন্ধকারের চার দেয়ালে বাস করা আঁধারে ডুবে থাকা মানুষগুলো মতো !! রাতের বন্ধকুপে অপ্সরির চিৎকার যেমন কেও কখনো শুনতে পায়না তাদের চিৎকারও কখনো কারো কানে পৌঁছায় না...
অন্ধকারের চার দেয়ালে বাস করা একটি রুমের কোন এক ফোটা দিয়ে যদি একটি মানুষের চোখে একটু আলো গিয়ে পৌঁছায় তবে সে সে আলোর পিছেই দৌড়ায় !! ভালবাসা আর একাকীত্ব এক তৃষ্ণার্ত মানুষকে যদি কেও একটু ভালবাসার সোপান দেয় তবে সে একফোঁটা ভালবাসার জন্য সে পাগল কুকুরের মতই ছুটবে,এটাই স্বাভাবিক আর যে মানুষটি এ সোপান তাঁকে দিবে তাঁর জন্য এ মানুষগুলো যে কি না করতে পারে তা বোধয় বোঝানোর প্রয়োজন পরবেনা ?? আজ খুব বেশী একা হয়ে পড়েছি !! এমনিতেই আমি মানসিকভাবে একা একটা মানুষ কিন্তু আজ বড় বেশী একা হয়ে পড়েছি !! সবার সাথে বিছিন্ন হয়ে নিজেকে গুটিয়ে নেয়ার চেষ্টা আমার সর্বদা !! কারন আমি এতোটাই অভাগা যে কারো সাথে আমার যায়না !!
হা হা হা !!
মানে কেও আমাকে বেশিক্ষন সহ্য করতে পারেনা !! সেটা বাবা-মা-সপ্নপরী বা বন্ধুরাই হোক !! তাই একাই পথ বেছে নিতে হয় আমাকে ক্ষণে ক্ষণে !! এই একাকীত্ব আমার কখনই পিছ ছাড়বে না...
মাঝে মাঝে নিজেকে বড় পাপি মনে হয় !!
কিন্তু কি পাপ করেছি তা খুঁজে পাই না !!
হয়তো একা জন্ম নেয়াটাই একটা বড় পাপ ছিলো... আল্লাহ্‌ হয়তো এভাবেই সৃষ্টি করেছিলো আমাকে !!
 ঐ যে বললাম বাস্তব কষ্ট বা বাস্তবতা আসলেই অনেক বেশী কঠিন এবং কষ্টের !!

কই থেকে কই চলে গিয়েছিলাম !! কথা হচ্ছিলো বৃষ্টি নিয়ে আর ঝাপসা হয়ে আমি চলে গিয়েছিলাম আমার আবল-তাবল রাম কষ্টের গল্পও শোনাতে !!

রাতটা বেশ কাটলো আমার !! অবিরাম বৃষ্টি চলছেই...সব মিলিয়ে কেমন যেন লাগছিলো আমার !! বারান্দায় গিয়ে গ্রিল  ধরে দারালাম তখন দেখতে পেলাম বর্ষার অশান্ত বর্ষণ... নিতান্তই বৃষ্টি পড়ছে... এ থামার নয় !! থামেওনি...
আকাশটা পুরো ফ্যাঁকাসে সাদা মনে হচ্ছিলো। কালো মেঘগুলো  ভেসে যাচ্ছিলো আর ভয়ানক বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিলো একটু পর পর ।
আমি অবাক হয়ে বৃষ্টি দেখছিলাম !! আর বৃষ্টির ঝাঁপটা এসে নিতান্তই ভিজিয়ে দিচ্ছিলো আমার মুখখানি। ভালোই লাগছিলো ! একটু পর বুঝতে পারলাম বৃষ্টির জল আর আমার চোখের জল এক হয়ে মিশে যাচ্ছে...
ঠিক করলাম বৃষ্টি তে ভিজবো......

অনেকদিন পর অনেক্ষন রাতে বৃষ্টি তে ভিজলাম !! বৃষ্টি তে ভিজতে আমার অনেক ভালো লাগে কিন্তু আজ যেন মনে হচ্ছিলো কতদিন ধরে এই বৃষ্টি তে ভেজার অপেক্ষায় ছিলাম আমি। ক্যান এই অপেক্ষা আমার অজান্তেই আমার মনে তৈরি হয়েছিলো জানিনা। কিন্তু বৃষ্টির সাথে মিশে একাকার হয়ে নিজের কস্তগুলোকে বৃষ্টির সাথে ভাগ করতে পেরে বেশ প্রশান্তি লাগছিলো।

বৃষ্টির এক অদ্ভুত ক্ষমতা আছে ! যদিও বৃষ্টি দেখতে সবারই ভালো লাগে কিন্তু বৃষ্টি তে ভিজে ভিজে চোখ বন্ধ করে বৃষ্টির গান যারা আমার মতো অন্তর দিয়ে অনুভব করতে পেরেছে বা পারে তারাই বুঝতে পারবে বৃষ্টির প্রকৃত ভালোলাগা।
আধো ভেজা মনকে যখন বৃষ্টি পূর্ণভাবে ভিজিয়ে দেয় তখন অজান্তেই মনের কষ্ট গুলো চোখ বেয়ে বাহিরে নেমে আসে ঠিক যেমনি করে বৃষ্টি নামে এবং তা বর্ষণের সাথে বর্ষা হয়েই যোগ দেয়...
কিন্তু এই বর্ষণ কারো চোখে পড়ার মতো নয়। তাই ঐ বর্ষণ চাক্ষুস হলেও কারো বোধগম্য নয় । তাই বৃষ্টি তে ভিজে ভিজে বৃষ্টির সাথে নিজের সব কষ্ট গুলোকে উন্মুক্ত করার আনন্দ বর্ণনা করা সম্ভবপর নয় !!

তবে এ ভেজার মাঝে আরেকটি গোপন ভাললাগা কাজ করে আমার মাঝে !!
সপ্নপরী !!
আমাকে নিতান্তই ছুঁয়ে দিচ্ছিলো বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটা হয়ে...
তাই ভেজার সময় নিজের অন্তঃসত্ত্বা দিয়ে অনুভব করছিলাম আমি আমার অধরা কোনো মায়াবতী সপ্নপরী কে...... যাকে আমি পিচ্চি বলেই ডেকে থাকি !!

কারন সে আমাকে অনেক ভালবাসে যেভাবে বৃষ্টি তে ভিজে নিজের কষ্ট গুলোকে বিলিয়ে দিয়ে আত্মশুদ্ধি অনুভব করছিলাম ঠিক তেমনি এই সপ্নপরী যতক্ষণ আমায় ধরে থাকে পৃথিবীর সব কষ্টই আমার কাছে বেমানান লাগে......

কিন্তু একটা কথা বলতেই হয় এখানে...
“ প্রান পাখি মোর উইড়া যায়
  খাঁচা ছেড়ে......
  পিরীত বড় জ্বালারে...
  পিরীত বড় জ্বালা !! “

তাই সপ্নপরিও মাঝে মাঝে উড়ে যায়... আমার আকাশে আর দেখা দিতে চায়না...
তখন মেঘ কালো আষাঢ়ের আকাশই হয় আমার একমাত্র আশ্রয়... !!

“বৃষ্টি দেখে গাইছি এ গান, শুনছি বসে নিরবে বৃষ্টির কলতান
নেইকো তুমি কাছে মোর,ভাবছি বসে তোমায়
বৃষ্টি দেখে উড়ছেনা না মোর স্বপ্নের ভুবন
খুলে দিয়ে স্বপ্নের দ্বার, বৃষ্টি দেখে আমি
গাইছি একমনে তোমায় ভেবে গিটারের তালে এই গান
এলোমেলো এই আমি বৃষ্টি ছুঁয়ে দেখি
বৃষ্টির ছোঁওয়ায় পাই খুঁজে তোমার অনুভুতি
ঘোলাটে চোখে ভেসে ওঠো তুমি

বৃষ্টিতে ভিজে পার হয়েছিলাম মোরা যে পথ
সে পথে আজো আমি বৃষ্টি তে ভিজে হাটি
নেই তুমি পাশে মোর, বৃষ্টিতে আমি ভিজি

বৃষ্টি ভেজা আকাশ দেখে কাদি আমি চুপি চুপি
নেই তুমি পাশে তবু দিচ্ছোনা মুছে আখি
বৃষ্টি দেখে তাই আমি আঁকছি সে ছবি

শুনতে যদি চাও এ গান, শুনে রেখ বেশ
একবারই গাবো, একবারেই শেষ !!
বৃষ্টি দেখে গাইছি এ গান,বেসুরা তুমি ছাড়া আমি
গাইবোনা কো আর কখনো কোনো গান
যদি নরক বালক হয়ে ফিরে আসি !!!!!!!

-অবয়ব সিদ্দিকী মিডিয়া 



নরক থেকে বলছি !!

নরক বালক বলছি......

অনেক কস্ট হচ্ছে আমার। একি !! কি বলছি এসব ? নরক বালকের আবার কস্ট হয় নাকি ?? হঠাৎ করেই চারিপাশ এতো নিরব কেনো লাগছে ?
এতই নিরব যে একটা পিন এর আওায়াজও আমার কানে এসে লাগলে আমার মাথা টা ছিরে যাচ্ছে এমনটা মনে হচ্ছে... দেয়ালে কি ঘড়ি আছে ? তাহলে ঘরির কাঁটার শব্দ শুনছি আমি এতো জোরে জোরে? না !! আমার নিঃশ্বাসের শব্দ !! আরে নিশ্বাসের শব্দ কিভাবে শুনবো ? আমি কি বেঁচে আছি ? আমিতো মৃত !! আওায়াজ টা অনেক বেশী কষ্ট দিচ্ছে...

আমার চোখ দিয়ে রক্ত বইছে...কাঁদতে পারছিনা আমি... কেনো এমন হয় ?? নরক বালক হয়ে নরকটাকে গুছিয়ে নিয়েছিলাম আমি... কিন্তু সে নরকো আজ বড় অচেনা লাগছে  !! নিজেকে চিনতে পারছিনা আমি... অশ্মরীর কান্না দেখেছো কখনো ?? কখনো কোনো নরক বালকের হাহাকার শুনেছো কান পেতে ? পারবেনা শুনতে... সে ক্ষমতা তোমাদের নেই......।।  তোমরা কি বুঝো আয়নায় নিজের চেহেরা দেখতে গেলে তোমরা নিজের মুখোশ যখন দেখো অথচ  একবারো নিজের অন্তঃসত্ত্বা টের পাওনা !! যদি টের পেতে তাহলে বুঝতে !!

চারিপাশে এতো রক্ত কেনো আমার ? মুখোশ পড়া পিশাচ গুলো ধেয়ে আসছে  আমার দিকে... ওরা আমাকে অনেক কুৎসিত ভাবে কামড়ে খাবে... নঘ্ন করে আমার শিরায় শিরায় কামড়ে আমাকে ছিরে ছিরে টুকরো করে দিবে... খুব কষ্ট হবে আমার... নরকের কষ্ট নতুন কিছুনা আমার কাছে... কিন্তু আমি কোনো অনুভুতি পাচ্ছিনা কেনো আজ ? এতদিন তবু অনুভুতি ছিলো !! কষ্ট হত যখন ওরা আমাকে ছিরে ছিরে হিংস্র হায়নার মতো বাঁ পাগল কুকুরের মত খেতো !! তাহলে কি অনুভুতি শুন্য হয়ে গেলাম ? জন্যই কি অচেনা লাগছে সব কিছু !! নরক টা কেও ঘোলাটে লাগছে !! কিন্তু নরকের কষ্ট টা অনেক বেশী তীক্ষ্ণ !!

একটা তীক্ষ্ণ সুই এর মত করে মাথার মধ্যে কিছু একটা খুব বেশী কষ্ট দিচ্ছে !! কষ্ট হচ্ছে বুঝতে পারছি কিন্তু কোনো অনুভুতি হচ্ছেনা !! আবার নরকের কোন রুপ ? নরক রুপ পাল্টায় ক্ষণে ক্ষণে জানি ! তবে এমনটা নতুন !! সব কিছু ঘোলাটে হয়ে যাচ্ছে... চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে...

আচ্ছা !! আমিতো মরে গিয়েছি !! আমার শরীর বলতে কিছু নেই !! সত্ত্বাও নেই !! তবে আমি কি ? বেঁচেও নেই !! তাহলে এগুলো কি হচ্ছে ?? আমি কি বেঁচে আছি তাহলে ? বেঁচে থাকলে তো অন্য রকম হওয়ার কথা ছিলো !!

নরকে তো অনেক আগে থেকেই আছি... তবে এতটা অচেনা তো কখনো মনে হয়নি !! তার মানে কি আমার সত্ত্বা বাঁ সত্ত্বার সঙ্গিনী হয়ে কেও আমাকে ছুঁতে চেয়েছিলো বাঁ ছোঁওয়ার চেষ্টা করেছিলো !!?? হয়তো ছুঁতে চেয়েও ছুঁতে পারেনি !! পারবে কি করে ?? কি আর সম্ভব ? নরকে বাস করা কোনো বালক কে কি কখনো ছোঁওয়া যায় ? যায়না !!

জন্যই আমার নরকটা অনেক অচেনা লাগছে... মুখোশ দিয়েও ঢাকতে পারছিনা আমি আমার মুখমণ্ডল !! কারন আমি নরক বালক হতে পারি মুখোশধারি কোনো মুখোশ আত্মা না !!

পিশাচ গুলো আমাকে কামড়ে খাচ্ছে !! কোনো অনুভুতি হচ্ছেনা !! শুধু রক্ত দেখছি... আর ঘোলাটে হয়ে ঝাপসা হয়ে আসছে আমার নরক !! কষ্ট পাচ্ছি শুধু একটি তীক্ষ্ণ সুইয়ের মত শব্দ খুব বাজে ভাবে মাথায় আক্রমন করছে... কানে হাত দিয়েও আওয়াজ টা থামাতে পারছিনা অথচ প্রথমেই বলেছি নরক টা আজ অনেক নীরব !!! শুধু এই আওয়াজ টা থেমে গেলেই হয়তো নরকে শান্তি না থাকলেও চোখটা বুঝতে পারতাম আর মুক্তি মিলতো আমার !! মুক্তি !!?? হা হা হা হা হা...... আমি চাচ্ছি মুক্তি !!??

সপ্নপরী !!

অনেক ধন্যবাদ তোমাকে, জানি তুমিই ছুঁতে চেয়েছিলে আমাকে !! অনেক ধন্যবাদ তোমাকে কিছুদিনের জন্য আমাকে নরক থেকে বের করে নেয়ার তোমার সবটুকু চেষ্টা করার জন্য !! আসলে তোমার কোন ভুল বা দোষ নেই... আমার জায়গা এই নরকেই... এখান থেকে বের হওয়া আমার সম্ভব না। তুমি তো সপ্নপরী ছিলে আমার যখন স্বপ্নরাজ্য বলতে কিছু ছিলো !! এখন তো আর সপ্ন নেই সেই রাজ্যও নেই তাই তুমিও আসতেও পারবেনা !! কারন যে সপ্নপরী সে নরক বালক কে ছুঁতে পারবেনা এটাই স্বাভাবিক !! তবুও তুমি আমার সপ্নপরী ছিলে তাই হয়তো আমার সত্ত্বাও হার মেনে ছিলো তোমার কাছে এবং দূর থেকেই হোক আর ভিশন কাছ থেকেই হোক তুমি আমাকে ছুঁয়ে দিয়েছিলে তাই হয়তো পেরেছিলে নরক থেকে বের করে নেয়ার চেষ্টা করতে !! তাই  আজ নরক হঠাৎ করেই অচেনা লাগছিলো আমার কাছে !!

সপ্নপরী, ভালো থেকো তুমি !! আগুনে পুরে ঝলছে যাচ্ছি আমি... হারিয়ে যাবো নরকের অন্য কোনো গহব্বরে হয়তো আবার খুব শিগ্রই !! ভালো থেকো... নরকে চোখ বুঝতে চাই আমি... সম্ভব একমাত্র তোমার ভালো থাকার মাঝেই !! জানি অনেক ভালোবাসো তাই আমার চোখ বুঝতে দেয়াটাও তোমার হাতেই এখন !! Sorry !! নরক বালক হয়ে তোমাকে কষ্ট দেয়ার জন্য !!

তীক্ষ্ণ সুইয়ের মত শব্দ টি খুব বাজে ভাবে মাথায় আক্রমন করছে... কানে হাত দিয়েও আওয়াজ টা থামাতে পারছিনা শুধু এই আওয়াজ টা থেমে গেলেই হয়তো নরকে শান্তি না থাকলেও চোখটা বুঝতে পারতাম...... আমার চোখ বুঝতে দেয়াটাও তোমার হাতেই এখন...


-অবয়ব সিদ্দিকী মিডিয়া