মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৩

পাহাড়ের দেশে !!

স্বপ্নপরী,
তোমাকে নিয়ে চলে যেতে চাই এক পাহাড়ের দেশে...
যে দেশে স্বপ্ন বাসা বাঁধে বিশাল আকাশে, যে দেশে চোখ হারায় দূরের নীলিমায়
এবং হৃদয়ের আয়নায় নিজেকে মুক্ত মনে হয় আকাশে জোড়া শালিকের মতো।
কি যাবে, আমার সাথে ?
যেখানে এক ছোট্ট ঘরে বাসা বাঁধবো মোরা। তোমার আর আমার স্বপ্ন কুটির !
তুমি যখন রাঁধবে আমি তখন তোমার চুল বেঁধে দিবো...
আমি যখন ফিরবো ঘাম মাখা শরীর নিয়ে...
তুমি এসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিবে...
তোমার দুস্টমি যেথায় আমার শাসনের কাছে নিছক এক আদরে হারিয়ে যাওয়ার গল্প
যেখানে ভোরে তোমার আলতো হাতের ছোঁয়াতে এবং ঐ হাল্কা ঠোটের নীরব ডাকে আমার ঘুম ভাঙবে এক নতুন স্বর্গে !!
তারপর পাহারের উপর-নিচ পথ ধরে আমরা হেটে যাবো একই সাথে,ভোরের আলো মাখবো বলে।
যেথায়,তোমার স্বপ্নের বেলকুনি দিয়ে উদাস তোমার চোখের মাঝে পুরো চাঁদ টাই দেখা যাবে এবং তোমার পাশে অবসরে যখন হাল্কা গরম চায়ের কাপ নিয়ে দাঁড়াবো তখন সুখের তারা গুলো মিটিমিটি করবে।
বৃষ্টি যেথায় তোমার মেঘলা আকাশে যেনো বার্তা নিয়ে আসে প্রতিমুহূর্তে তোমায় আর আমায় এক মুহূর্তে আটকাতে...
ঘাসের চাঁদরে যেথায় ফুটে থাকা কোনো ঘাস ফুল দেখে তুমি তা আদরে নিজের আলতো হাতে নিয়ে আমায় দেখাবে যেনো এক ঘাসফুলি তোমায় এনে দিতে পারে হাজার সহস্র হাসি...
ফুঁ দিয়ে সে ঘাসফুলে তুমি স্বপ্নের জোনাকি জ্বালাও... ঠিক তোমার টোল পড়া গালের হাসির মতো
কি ? কি ভাবছো ?
ভাবছো... হঠাৎ করে তোমার সপ্নবাজ নরক বালক পাগল হয়ে গেলো না তো ?
ভাবতেই পারো... ভেবে দেখো তো। আমাকে ছেড়ে খুব ভালো হয়েছে কি তোমার ?
এ স্বপ্নগুলো দিয়ে এখন আমি কি করবো সপ্নপরী ?
বলে দাও...
সযতনে রেখে দিবো নাকি স্বপ্নের মৃত্যু ঘটাবো ?
স্বপ্নপরী... ভেবে দেখো !! বুড়ো হয়ে মরে যাওয়ার সময়েও এই বুড়া তোমার পাশেই থাকবে তোমার দুটি হাত সযতনে ধরে... যেমনটি স্বপ্নবাজ হয়ে ধরে আছে সঙ্গোপনে 


-অবয়ব সিদ্দিকী মিডিয়া 




সাগর পারে তুমি !

মনে করো কোন এক পড়ন্ত বিকেলে,
সমুদ্রের পারে তুমি একা দাঁড়িয়ে আছো। তোমার চোখে দূর আকাশের স্বপ্ন ভড় করে আছে যে স্বপ্নের ঘোর যেথায় সমুদ্র আর আকাশের সন্ধিক্ষন,সে পর্যন্ত চলে গিয়েছে কখন তাও জানো না !
দাঁড়িয়ে আছো তুমি, জীবনের অনেকটাই পার করে দিয়েছো কিন্তু কখনো নিজেকে শান্তি দিতে পারো নি কিন্তু আজ সে শান্তি কেন যেনো কোনো কারন ছাড়াই তোমার মাঝে এসে বাসা বাঁধতে চাইছে।
সমুদ্রের এলোমেলো বাতাস গুলো তোমার মাথার আংশিক ছেড়ে দেয়া চুল গুলোর সাথে এক জাদুকরী খেলায় মঘ্ন আর তুমি দাঁড়িয়ে ভাজ করা হাত গুলো নিজের বুকের মাঝে রেখে এক দীর্ঘ শ্বাস নেয়ার সুখ অনুভুত করছো।
নিজেকে মেলে ধরেছো আজ আকাশ পানে, যেমনটি সমুদ্রের তীর ঘেঁসে পাখি গুলো উরে যাচ্ছে।
কি এক গোধুলির মাঝে হারিয়েছিলে ভাবছো !
নিজেকে হঠাৎ করেই অনেক বড় মনে হচ্ছে তোমার,কিন্তু সে সাথে অনেক হাল্কা এক অনুভূতি যেনো কতোদিন ধরে হারিয়ে ছিলে কোথায় নিজেই জানো না। আজ নিজেকে কেন যেনো এই সমুদ্র কোলে এসে ফিরে পাচ্ছো।
পানিকে ভয় হয় তোমার তবুও আজ দুটি পা পানিতে ভেজাতে খুব ইচ্ছে করছে তাতে যদি মনে একটু শীতল কোনো ছোঁয়া লাগে।
এগিয়ে গেলে সমুদ্রের অল্প পানির কাছে,আলতো করে পা বাড়িয়ে দিলে। ছোঁবে না ছোঁবে এমন দ্বিধা দন্দে শেষ পর্যন্ত ছুঁয়ে দিলে এবং নিমিষেই বুঝতে পারলে সত্যি সাগর তোমায় ছুঁয়ে দিয়েছে শীতল ভাবে।
ভাবছো, অনেকটা পথ পারি দিয়ে এমন স্বর্গীয় অনুভূতি কখনই তোমার হয়নি ? সর্বদা যেথায় সুখ খুজেছো,সেথায় মিলেছে সুখের বিপরীত শব্দ ! আজ নিজের মাঝেই নিজে সুখ কি করে খুঁজে পাচ্ছো ?
তোমার ভাবার অভ্যাস টা কখনই গেলো না। সুখ তো মানুষ নিজের মাঝেই খুঁজে পায়। কিভাবে সে ব্যাখ্যা অন্য কখনো না হয় বোঝাবো।
সন্ধার সাথে তোমার এমন খেলা চলছিলো আপন প্রানে, হঠাৎ দেখলে বিকেল শেষ আর সন্ধে গরিয়ে রাত নেমে এসেছে। ফিরতে হবে কিন্তু ফেরার মন তো চায়না...
মুখ ফিরিয়ে হঠাৎ পিছলে গেলে,আচমকা তোমার হাতে এক ঝাঁপটা টানে তোমাকে সযতনে ধরে ফেললো স্বপ্নবাজ (!)

চলো,রাত হয়ে গিয়েছে
-আরো কিছুক্ষন থাকি?
ঠাণ্ডা করবে যে
-তাতে কি,তুমি তো আছো
আমি কি তোমার ঠাণ্ডা থামাতে পারবো, পাগলী ?
-না,কিন্তু ঠাণ্ডা লাগলে সে জ্বালা তো সহ্য করতে পারবে
ঠাণ্ডা লাগবে তোমার, জ্বালা সহ্য করবো আমি?
-তাইতো করে এসেছো?
হাহ,বাদ দাও তো। এখন চলো
-একটু তোমার কাঁধে মাথা রাখতে দাও,প্লীজ ?
না করেছি কখনো,দাও তোমার হাত টি ধরি
-আমার সত্যি ঠাণ্ডা লাগছেনা
আমি হাত ধরতে চাইছি
-আমি জানি তোমার কাঁধে মাথা রাখার একমিনিট পরেই তুমি আমাকে তোমার বুকে নিয়ে যাবে যাতে আমার ঠাণ্ডা না লাগে। তুমিনা...
আচ্ছা,তাতে কি তোমার সমুদ্র বিলাশে কোনো অসুবিধে হবে ? আমিতো তোমাকে বুকেই রাখছি তাইনা? এতে তো আরো রোমান্টিক রোমান্টিক একটা ব্যাপার কাজ করা উচিত 
-শোন,আমি জানি সব,বুঝি সব...হাহ !!
তাই,সব বুঝো ?
-বুকে রাখবে তো সবসময় ?
শূন্য হয়ে যাবে তো
-মানে ?
তোমায় না রাখলে
-অন্য কেও আসবে না তো শুন্য...
চুপ ! বেশী কথা বলো তুমি,এখন মেজাজ খারাপ করো না তো এই সব মেয়েলী কথা বলে
-হি হি হি, কানে ধরলাম 'সরি'
হুম... অনেক হয়েছে এখন আমার বুকে মাথা রেখেই চলো। সমুদ্রের সাথে অনেক ভালবাসা হয়েছে আপনার
-জানো কিছুক্ষন আগে ভাবছিলাম...
জানি,স্বর্গীয় সুখ... ?
-কি করে জানো ?
কারন,ভালবাসি...
হারাবে না তোমার স্বর্গীয় সুখ বিশ্বাস রাখো,এ সুখ তোমার নিজের প্রাপ্তি
এই সমুদ্র তোমায় তোমার সুখই এতোক্ষন ফিরিয়ে দিচ্ছিলো। 



-অবয়ব সিদ্দিকী মিডিয়া 


শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৩

নরক !! (the hell journey)

কোথায় আছি আমি ?
হুম... পৃথিবী তে ?
সব কিছু তো দেখতে পৃথিবীর মতই কিন্তু অচেনা সব কিছু...

আকাশ টা অনেক বেশী হলদে,যেনো আগুনের লীলাভূমি !
চারিদিকে মরুভুমির মতো শুন্য... খুব পিপাসা পেয়েছে আমার কিন্তু কোথাও পানি দেখছি না ।
শূন্যে ভেসে বেড়াচ্ছি... যেদিকেই যাই শুধু আগুনের উত্তাপ !

আচ্ছা,এখানে কি আমি একাই ? আর কাও কে দেখছিনা কেনো ?
উউউফ...আগুনের ঝাঁপটা এসে লাগছে আর আমার দেহ টা কে বিবর্ণ করে দিচ্ছে
আমার স্বত্বা দেখছে কি ভাবে পুড়ছি আমি...

আগুনের প্রতিটি কনায় কনায় আমার দেহ পুড়ছে
পুড়তে পুড়তে আমার মানুষরূপি মুখ খানি এখন আর মানুষের মতো নেই।
পরিণত হয়েছে কোনো এক বীভৎস পশুর মতো ।

আমার স্বত্বা আমার কাছে নেই !
শুনতে পাচ্ছি কিছু কিছু  হা হা কার এবং বীভৎস হাসির আওয়াজ চারপাশ থেকে...
হঠাৎ খুব তীক্ষ্ণ আওয়াজ শুনতে পেলাম, উউফ !!
তীক্ষ্ণ শব্দ টি খুব ক্রমেই বেড়ে চলছে...
আমার মস্তিষ্কের  রক্ত কণা আর শিরায় শিরায় যেয়ে আহত করছে আমাকে।

একি !!!
আবার কোথায় এলাম আমি ?

একটি অন্ধকার ঘর
চারদিক খুবই অন্ধকার !!
খুব শীতল একটি ঘর,
ঠাণ্ডায় অনেক কাপছি আমি... আমার দেহে কোনো  বস্র নেই !

হঠাৎ ঘরটি তে কোথাও হতে আলোর একটি রেখা এসে আমার চোখে লাগলো
অন্ধকারের মাঝে হঠাৎ আলোর রেখায় আমার চোখ রক্তাক্ত হয়ে গেলো
আমার চোখ দিয়ে রক্ত পড়ছে !!

আবার সব অন্ধকার !
কিছুই বুঝতে পারছিনা আমি !?
কোথায় আমি ? নরকে ??
একেই কি নরক বলে ?
এটাই কি নরক ?

তাহলে একটু পর পর আমি নরকের রুপ বদলাতে দেখছি কেনো?
একবার পৃথিবীর মতো,আবার আগুনের লীলাভূমি আবার শীতল কোনো ঘর !
হঠাৎ কুকুরের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি,
এখন আমি আর কোনো কিছুই অনুভব করতে পারছি না
কুকুরের আওয়াজ টি ক্রমেই কাছে আসছে

হঠাৎ কিছু বীভৎস চেহারার কিছু প্রানি দেখতে পেলাম,
আমআকে নিষ্ঠুর ভাবে কামড়াচ্ছে !!
আমার সারা শরীর দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে...শুধু রক্ত রক্ত আর রক্ত !!

উউউফফ... আমি কি কোনো দুঃস্বপ্ন দেখছি নাকি সত্যি আমি আজ নরকে ?

আচমকাই আমার স্বত্বা আমাকে জানান দিলো............

মিডি,তুমি নরকে...

Medi... u r in hell !! dnt u knw hell is in the depth middle in the earth !!
that’s why u find some similarity with the earth about hell. And in the hell
everything is invisible...and changeable...there r no peace. u'll face so many changes
withing after few seconds and seconds !! 
sometime it will seems like u r in earth bt so alone...sometime it will feels like
burn ur whole body,sometime  cold in a dark room....sometime beaten u rapidly by Hellhounds !!



Run medi....run.......just run.....u'll find a way to escape.....but u have to run....!!


call ur allah rapidly b’coz  i'm  ur soul and i know u !! u enter to hell so
u can exit from it......but aware from DEVIL or DEMONS !!
If they will catch u,i will exit from ur body forever nd u'll be like a dust in hell.........."

এগুলা কি শুনতে পেলাম আমি ?
আমার স্বত্বা আমার সাথে নেই !!?? আমি ইচ্ছা করে কিভাবে নরকে আসবো?
এও কি সম্ভব ?
আবার আমিই পারবো নরক থেকে বের হতে?

পৃথিবীতে কি এতোটাই পাপী ছিলাম যে মৃত্যুর পর আমার এমন অবস্থা হচ্ছে?
আমার উপর কি এতোই অভিশাপ  জমা হয়েছে যে আমি নিজেও বলতে পারছিনা কেনো আমি আজ নরকে ??

হঠাৎ অচেনা এক রাস্তায় চলে এলাম
পাশ দিয়ে আঁকাবাঁকা ভাবে বয়ে গেছে গাছ-গাছালির ঘন বন,এর মাঝ দিয়েই রাস্তা
আর সে রাস্তাতেই এতক্ষন দৌড়াচ্ছিলাম আমি...নিজেই জানিনা !
পিছে তাকিয়ে দেখি বীভৎস সেই প্রানি গুলো এগিয়ে আসছে...
আবারো কামড়াবে ?
আমি দৌড়াতে শুরু করলাম...
 দৌড়াচ্ছি আর দৌড়াচ্ছি,
একলা,অসহায়  ভাবে শুধু দৌড়াচ্ছি !!
কোনো ব্যাথা, কোনো অনুভূতি নেই আমার...
শুধু দেখছি হঠাৎ অন্ধকার আবার হঠাৎ আলো,
আমি শুধু অচেনা রাস্তা বেয়ে দৌড়াচ্ছি আর ঐ পিশাচ চেহেরার মতো মানুষের মতো দেখতে বীভৎস প্রানি গুলো পিছু লেগে আছে...
ওরা পিছ দিকে টানছে আমায়...
আমি দৌড়াচ্ছি... নরকের যন্ত্রণায় আমি মুহূর্তে মুহূর্তে  এখান থেকে সেখানে
কোথা থেকে যে কোথায় যাচ্ছি আমি নিজেও জানিনা...
আমি শুধু দৌড়াচ্ছি !!

a sequel part from the previous session called  “মৃত্যুময়ী কল্পনা আমার” !
To be continued….


-অবয়ব সিদ্দিকী মিডিয়া