সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৪

স্বপ্নপরীর কাছে লিখা খোলা চিঠি-২

প্রিয় স্বপ্নপরী,
চিঠি টা লিখতে বেশ কষ্ট হচ্ছে জানো তো ? দিনের দিন অসুস্থতা একটু বেশী ই খারাপের দিকে যাচ্ছে।
এখন অনেক ভোঁর। সারা রাত অনেক কষ্টে পার করলাম। মাথা টা এতো বেশী ধরে আছে যে বাহিরের চড়ই পাখির ডাক গুলোও ভালো ভাবে শুনতে পাচ্ছি না। মাথার যন্ত্রনায় একদম সবকিছু বিরক্ত লাগছে। বাহিরে এতক্ষনে রোদ উঠে যাবার কথা কিন্তু আজ রোদ না উঠে যদি বৃষ্টি হতো তাহলে কেনো যেনো ভালো লাগতো আমার হয়তো !
বুকে খুব যন্ত্রনা হচ্ছে,মনে হচ্ছে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে।
ধুর... কি সব যে বলছি,আমি আসলেই দিনের দিন অনেক বেশী বেরসিক হয়ে যাচ্ছি। না আমি এতোটা আনরোম্যান্টিক না। খুব ইচ্ছে করছে তোমার একটু হাতের ছোঁয়া পেতে জানো ? মনে হচ্ছে, মাথায় যদি একটু হাত বুলিয়ে দিতে হয়তো তাতে একটু শান্তি মিলতো। তোমার হাতের স্পর্শ যে আমার জন্য সব ডাক্তার আর ডাক্তারনি দের ওষুধ এর চেয়েও উদ্ধে ! মাঝে মাঝে কি মনে হয় জানো পরী ?
আমার যখন খুব খারাপ অবস্থা হবে,মানে আমি যখন একদম মৃত্যুর দ্বার প্রান্তে শুয়ে থাকবো,হসপিটালের ডাক্তার, নার্স ,আব্বু-আম্মু সবাই যখন আমার আশা ছেরে দিবে এমন কি দাদু এসে আমার হাত ধরে নিয়ে যেতে থাকবে ঠিক সে সময় তুমি এসে আমার কপালে চুমু দিয়ে মাথায় তোমার হাত বুলিয়ে বলবে 'অনেক তো হয়েছে...আর কতো বলো তো ? উঠো তো এখন... উঠো !! ধং... আর অভিনয় করতে হবে না... এসে পরেছি আমি ! উঠো স্বপ্নবাজ... তুমি না উঠলে তোমার স্বপ্নপরীও যে হারিয়ে যাবে...'
তখন আমি উঠে পড়বো কিনা জানিনা,তবে সৃষ্টিকর্তার কাছে সত্যি করতোরে প্রার্থনা করবো এই জনমে তোমার দেখা তো মিললো না,পরের জনম থাকলে যেনো সেথায় অন্তত তোমার আসল দেখা টা মিলে।আর যাইহোক তোমার রুপে অন্যসব মানুষজন যেনো আমাকে কষ্ট দিতে সেথায় না আসতে পারে। একমাত্র তুমিই যেনো আসো ! আর এতোটা বোকা যেন আমাকে না বানায় খোদা। এই যে, তুমি হাসতেছো কেনো বলোতো ?
কিন্তু এ কেমন হাসি স্বপ্নপরী ? চোখে পানি আর মুখে হাসি ? তোমার ঐ টোল পড়া মুখের হাসি দেখে মরেও শান্তি ! টোল পড়া ঠোটের নিচে যে তীল সে তীল কিন্তু একমাত্র আমার, মনে থাকে যেনো ? আমি চলে গেলে সেটা কাওকে দিবে না তো ?
আর পারছিনা,তোমার হাত টা একটু দিবে প্লিজ ?
অনেক ধরতে ইচ্ছে করছে !
কি দিবেনা ?
না না... ছেড়ে দিবো না, ছেড়ে দেয়ার জন্য তো ধরি নি,তাইনা ?
অনেক যন্ত্রনা হচ্ছে, প্লিজ পরী...
হাত টা বাড়াও...একটু ছুয়ে দাও আমায়...

শোন...
মেঘ ডাকছে...বৃষ্টি আসবে বলে প্রকৃতির সব আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে...এখন বৃষ্টির অপেক্ষায় !

আজ বৃষ্টি আসবে...



-স্বপ্নবাজ (অবয়ব সিদ্দিকী মিডিয়া)    

ছবিঃ সংগৃহীত

শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৪

ঝাপসা !

দূর থেকে তোমাকে স্পষ্ট দেখতে পাই
কেন যেনো কাছ থেকে তা কখনই দেখতে পারি নি...
আচ্ছা... তুমি কি কাছে এলে ঝাপসা হয়ে যাও ?

-না তো !! কাছে এলে হয়তো তোমার মাঝে মিশে যাই,তাই আর আমাকে আমার মতো দেখতে পাও না

এ আবার কেমন কথা ? তুমি তো সবসময়ই আমার মাঝে মিশে থাকো,আমি জানি 

-সবসময় মিশে থাকি ?

হুম...সবসময়ই মিশে থাকো। আমার নিঃশ্বাসে, আমার কাজল মাখা নয়নের আবেগে,আমার ঠোঁটের প্রতি স্পর্শে আর...

-আর ??

আর, ধুর বোকা এটাও বোঝ না ?

-না,বুঝলাম নাতো !!

থাক,আর বুঝতে হবেনা,ভোর হয়েছে উঠবেনা ?

-আমার কি আর ভোর হয় ?

মানে ?

-তুমি যেদিন কল্পনা থেকে বের হয়ে আসবে হয়তো সেদিন ভোর হবে

আমি কি তোমার নিছক কল্পনা ?

-না... বেঁচে থাকার একমাত্র অনুপ্রেরণা যাকে আকড়ে ধরে আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করছি !

তুমি, বেঁচে আছো ? সত্যি ?

-জানিনা স্বপ্নপরী, সত্যিই জানিনা !

না তুমি বেঁচে নেই,হারিয়ে গিয়েছো... ফিরবে কবে ?

-যেদিন দূর থেকে আমায় ঝাপসা দেখবে সেদিন 

ঘুমন্ত এক তুমি আর আমি !

কি দেখো অমন করে ?
-তোমাকে
এতো দেখার কি আছে ?
-বুঝবেনা
হাহ... এতো দেখো না,একটা সময় আসবে আর দেখতে ইচ্ছে করবেনা
-তাইনাকি,আমার তো মনে হয় অন্যটা !
অন্যটা ?
-হুম... তুমি যখন থাকো না তখনও তো আমি তোমায় দেখি?
আচ্ছা,আমি ঘুমিয়ে পড়লেও তুমি তাকিয়ে থাকো ! এতো কি আছে আমার মাঝে দেখার মতো?
-তা ঠিক !! কিচ্ছু নাই... 
বলোনা,কি সুখ পাও বলো ?
-কি সুখ ? তোমার নিদ্রাছন্ন নয়ন যে স্বপ্ন আঁকে,সে সুখ পাই আমি ।
তোমার ঘুমন্ত ঐ চেহারা যে চঞ্চল,আহ্লাদী এবং আবেগি পিচ্চি টাকে আমার কাছ থেকে লুকিয়ে রাখে সে সুখ খুঁজে পাই আমি আর...
আর ?
-আর, সারাটাক্ষন যে হাত আমাকে ধরে ঘুমায় এবং যে মাথা আমার বুকে সুখ খুঁজে পায় সে সুখ খুঁজি আমি।
এক আমার ঘুমন্ত আমার মাঝে তুমি এতো কিছু কিভাবে খুঁজে পাও বলবে ?
-হুম... পাই তো

কি ভাবে বলি বলো ? এমন যে আদর আদর করা গাল তোমার সেখানে যে সব কিছুর বিনিময়েও আটকে থাকতে চাই আমি। আর তুমি কি জানো,ঘুমের মাঝে তুমি বাচ্চাদের মতই হেসে ওঠো ?
আমার পিচ্চিটার টোল পড়া বাচ্চাদের মতো সে হাসি দেখার মতো সৌভাগ্যকে কিভাবে আমি হাতছারা করি বলো তো ?
ঘুমের মধ্যেই আবার তুমি জেগে ওঠো একপলক আমাকে দেখে আবারো ঘুমিয়ে পড়,আমি হাসি ভাবি পাগল... এতোটাই ভালবাসো !!
তোমার উড়ে আসা চুলের মাঝে হারিয়ে থাকি আমি...

যে ঘুমে সর্বসুখ বিরাজ করে সে ঘুম দেখবই তো আমি
যে ঘুমে ভালবাসা উঁকি না,সরাসরি স্রষ্টা হতে নেমে আসে
সে ঘুম দেখবই তো আমি
হোক সে ঘুম তোমার চোখে...
তোমার চোখ দিয়েই,ঘুমাবো আমি
যার চোখে আমায় দেখি আমি
সারাটিক্ষন তাঁর মাঝেই থাকবো আমি 

ভালবাসার পূজারি

-তুমি আমাকে ভীষণ ভালোবাসো তাইনা ?
-ভীষণ !
কিরকম ভালবাসো জানো ?
-কি রকম ?
-একজন শিল্পী যেমন ভালবাসে তার শিল্প কে, একজন ভাস্কর যেমন ভালবাসে তার ভাস্কর্য কে !
তুমি প্রেমিক নও, তুমি পূজারি ।
-পূজারি ?
-তুমি পুজো করো কিন্তু আমি তো পুজো চাই না !
-কি চাও তুমি ?
-আমি চাই প্রেম প্রেম শুধু প্রেম !
তোমার আলিঙ্গনে আমি মোমের মতো গলতে চেয়েছি ! তোমার আশ্রয়ে আশ্রিত হয়ে আমি অনুভব করতে চেয়েছি যে আমি মরে যাচ্ছি ! পারবে আমাকে সে ভাবে ভালবাসতে ?? পারবে না ?
-না ! পারবোনা। আমি যে শিল্পী...
-শিল্পী ???
-শোনো একটা কথা বলি ?
-বলো
-চোখ টা বন্ধ করবে ?
-করলাম
-একটা অন্ধকার ঘড়ে কিছু আলোর প্রদিপ জ্বলছে, দেখছো ?
-হুম
-আলো গুলো তোমায় ছুঁয়ে দিচ্ছে,তাইনা ?
-হুম
-ঘরের মধ্যখানে তুমি বসে আছো সেজে- কপালে তোমার টিপ,হাতে চুরি,কানে দুল,চুল তোমার উড়ছে এক ঝড়ো বাতাসে,চোখে নিয়েছো আঁধার ঘেরা ঘন কালো কাজল,পায়ে তোমার আলতা, হাতে আবার মেহেদী ! একি সেই কাজল মাখা চোখে পানি কেনো বলতো ? কি দেখছো ?
-ভালবাসা !!
-তুমি তো মহা কিপ্টে ! এতো ভালবাসা জমিয়ে রাখবে ?
-ছরিয়ে দিবো ?
-শান্ত হও ! তুমি তো জ্বলার জন্য নও...
-তাহলে ?
-শান্ত করো সবাইকে
-কিভাবে ?
-ভালবাসা দিয়ে ! যেভাবে ভালবাসা দিয়ে শান্ত করা যায় এ জগৎ কে !
-কি ভাবে পারো ?
-কি পারি ?
-ভালবাসতে ?
-হা হা হা...... আমি যে প্রেমিক নই ! ভালবাসাময় এক শিল্পী !! পুজো নয়... ভালবাসার পূজারি !

শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৪

স্বপ্নপরী এবং মধুপূর্ণিমা !

স্বপ্নপরী,
-আচ্ছা, আমাদের মধুপূর্ণিমা কেমন হবে বলতো ?
-তুমি ই বলো !
-আচ্ছা, মনে করো আমি আর তুমি মিলে প্রথম মধুপূর্ণিমায় কই যাবো ?
-কই যাবো ?
-এটাও আমাকে বলতে হবে ?
-হুম...
-আচ্ছা, তুমি Nuku-Hiva চেনো ?
-না তো ! এটা কোন যায়গা ?
-এটা Tahiti,French Polynesia Island,একটি পর্যটক কেন্দ্র !!
-এতোদূর ?
-তো ? এতো দুরেই যাবো...
-এতো দূরে কেন ? ঐখানে এমন কি আছে ?
-না... তেমন কিছু নেই আবার অনেক কিছু আছে... ওখানে তোমাকে নিয়ে হারিয়ে যাবো পাহাড় গুলোর অড়ন্যে, ভেসে বেড়াবো সেখানকার ছোট ছোট দ্বীপকুঞ্জে... বনের ভেতর দিয়ে যে লেক গুলো বের হয়ে গিয়েছে সেখানে তোমাকে নিয়ে নৌকায় ঘুরবো ! আর...
-আর ?
-হুম... আর সমুদ্রের কোনো এক ধারে আমি আর তুমি গোসল করবো কিন্তু কাপর থাকবেনা !
-কি বলো এগুলা ? পাগল !!??
-লল !! পাগলই তো ! আচ্ছা শেষ করি ?
-হুম...বলো
-সেখানে আমরা নৌকায় ঘুরতে ঘুরতে যদি হারিয়ে যাই ?
-মানে কি ?
-মানে মনে কর হঠাৎ হারিয়ে গেলাম এবং সেখানকার কোনো এক পাহাড়ে বাস করা জাতিদের কাছে আশ্রয় নিলাম কিছুদিন, তাদের সাথে পাহারের দেশে থাকলাম। তারা আমাদের অনেক আদর করলো-যত্ন করলো তারপর আবার দিক বুঝে ফিরে আসলাম ...কেমন হবে বলতো ?
-তোমার মাথা টা আসলেই গেছে !
-বলছো ?
-হুম... বলছিই তো ! না হলে কি আর কি কোথাকার নুকু-হিবা না কি তা নিয়ে তুমি Honeymoon এর চিন্তা করছো !
-তো কি ? আমি যাবই এবং তোমাকে নিয়েই যাবো ! এবং আমাদের একটা হানিমুন ঐখানে করবই!
-আচ্ছা, তার আগে আমাকে খুঁজে বের করো ! তুমি তো বিয়েই করবানা  আবার বছর বছর হানিমুন এর প্লান গেথে বসে আছে !
-তোমাকে খুঁজে না পেলে তো আর হবে না... তাইতো বলছি আর কতো স্বপ্নে থাকবে ? বয়স তো কম হলো না, এখন একটু দেখা-টেখা দাও ! এখন প্রেম না করলে কবে করবো বলো তো ?
-হাহ... এখনি না জনাব... অপেক্ষা করুন !
-অপেক্ষা...... ?
-হুম... তবে আপনার কয়টা হানিমুন করার ইচ্ছা আমি জানি না তবে প্রথম হানিমুন আমার প্লান অনুজায়ী হবে, তোমার এসব উসবুক প্লান এ আমি নাই !
-আচ্ছা !
-একটা কথা বলবো ?
-বলো...
-থাক... !!
-না থাকবে কেনো ? বলো...
-অনেক তো হলো...যাওনা একটু ঘুমাতে যাও...
-তুমি থাকবে তো ?
-আমি তো আছিই, তাইনা ?
-সত্যি আছো তো ???



ছবিঃ Nuku-Hiva 

স্বপ্নপরীর কাছে লিখা খোলা চিঠি- ১

অনেক ভেবে ভেবে এ চিঠি টা লিখা শুরু করলাম, হয়তো পাগলামি হয়ে যাচ্ছে তবুও লিখছি। বাস্তবলোকে তুমি  নেই বলে কি তোমার সাথে আমি কথাও বলতে পারবো না ? এও কি হয় নাকি ?  কথা তো বলাই যায়...
আমার কাছে যে আমার কল্পনার স্বপ্ন জগৎ টা অনেক বেশী সত্যি ! তাইতো তুমি এতোটাই জীবন্ত আমার স্বত্বা জুড়ে।

তুমি হয়তো জানো,আমার নিজের ভেতর আমি আমার এক রাজ্য তৈরি করেছি, যেখানে কল্পনা ছাড়া আর কিছুই যায়গা করে নিতে পারেনা। সে রাজ্যে বাস করতে আমি খুবই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। সে রাজ্যের প্রতিটি মানুষ খুব চেনা জানা খুব আপন আপন ! সে রাজ্যে সব কিছুই কেমন যেনো খুব ভালো মানে সব কিছুই মনের মতো সব মানুষ গুলোও খুব বেশী ভালো এবং সুন্দর ।
সেখানে আমি যা চাই তাই হয়,এ জন্য সেটা আমার স্বপ্নরাজ্য আর সে রাজ্যের রাজা আমি বলে আমার নাম সপ্নবাজ !

কিন্তু এ রাজ্যে আপাততো একটাই অভাব জানো তো ?
তোমার অভাব সপ্নপরী !
আজ কাল কেমন জানি স্বপ্নরাজ্যেও অনেক ঝাপসা হয়ে যাচ্ছো তুমি......

আমি এখন আর আগের মতো সুন্দর করে গান গাইতে পারি না, গান লিখতেও কষ্ট হয়, এভাবে চলতে থাকলে আমি যে অতি শিগ্রই ধ্বংস হয়ে যাবো...
তুমি কোথায় সপ্নপরী ??

জানো স্বপ্নপরী,
তোমাকে নিয়ে রয়েছে অনেক কল্পনা। এগুলো সত্য হোক আর না হোক কিন্তু তোমাকে ঘিরে আমার এসব স্বপ্নের মাঝে রয়েছে অনেক ভালোলাগা। আর এই ভালোলাগা গুলো আমি সর্বদা একা অনুভব করি, কি করবো ? তুমি তো পাশে নেই... যে দিন দেখা দিবে সেদিন অবশ্যই ভাগ করে নিবো। ততোদিন না হয় আমার কাছে জমাই থাকলো ?
আচ্ছা, স্বপ্নপরী তুমি কি ট্রেন লাইন পছন্দ করো ? আমার ট্রেন লাইন এর পার ঘেসে কিংবা  আধো সন্ধ্যা ঘেরা বিকেলে ট্রেন  লাইন এর উপর দিয়ে হাটতে অনেক ভালো লাগে। যদিও একা একা হাটতে কেমন যেনো নিঃসঙ্গ লাগে কিন্তু আমার ভালো লাগে,কারন আমি যখন ট্রেন লাইন দিয়ে হাটি তখন ভাবি তুমি আমার সাথে হাটছো।
কেমন হবে বলতো ? কোনো এক বিকেলে আমি এবং তুমি একসাথে কোনো এক ট্রেন লাইন ঘিরে দুজনে হেটেই চলেছি তো চলছি ।
তুমি হাসছো আর আমি অবাক হয়ে তোমার ঐ আবেগময়ি সুন্দর হাসি দেখছি ।
স্বপ্নপরী, তুমি কি কখনো মধ্যরাতে ফাঁকা কোনো রাস্তায় রড লাইট এর নিচ দিয়ে একা হেটেছো ? অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করে আমার মাঝে যখন আমি একা রাতের রাস্তায় এইভাবে হেঁটে চলি তখন ভাবি তুমি যদি আমার পাশে থাকতে তবে কেমন হতো ? তুমি আর আমি হেঁটে চলেছি আলো-ছায়া ঘেরা নীরীবিলি কোনো এক রাস্তা দিয়ে।

তুমি কি কখনো সন্ধ্যা ঘেরা কোনো বিকেলে যখন একসাথে ডুবন্ত সূর্যের আলো স্পষ্টত থাকে ঠিক সে সময় রিক্সা করে কোনো নীরব ঘেরা রাস্তায় ঘুরে বেড়িয়েছ ?
আমি বেড়িয়েছি,সাথে তুমি ছাড়া আর কে থাকবে বলো ? রিক্সাতে আমার পাশে তুমি। আমার হাতটি সযতনে ধরে রেখেছ আর তাকিয়ে দেখছো আকাশের মাঝে হাড়িয়ে যাওয়া সূর্যের শেষ চিহ্নটি ।

কি স্বপ্নপরী, ভাবছো এ কোন পাগলের পাল্লায় পড়লে তুমি ? ভাবতে পারো, তবে এ তো মাত্র শুরু ! এখনো তো অনেক কিছুই বাকি...
এ তো গেলো শুধু তোমাকে ঘিরে আমার নিঃসঙ্গ কিছু ঘুরে বেড়ানোর মুহূর্ত যা সর্বদা আমার কল্পলোকে ভেসে বেড়ায় !!

তুমি জানো তবুও বলছি, আমি সর্বদা একা একটি ছেলে। স্বপ্নপরীর যে জায়গা টি আমি তোমাকে দিয়েছি তা আমার কাছে আমার নিজের চাইতেও অনেক বেশী দামী। জিজ্ঞেস করতে পারো, কেনো ?
কারন, আমি আমার স্বপ্নপরী অর্থে যে মানুষটি কে কল্পনা করি সে আমাকে আমার থেকেও বেশী ভালোবাসে... বোঝে...আপন ভাবে... !! যাকে বলে অনেকটা পুরানো দিনের ধ্যান-ধারনার মতো দুটি মানুষ একটি স্বত্বা !  
আর কথা বারাবো না, অনেক বেশী অসহায় লাগছে... তুমি হয়তো জানো দিনের দিন আমি কতোটা পাল্টে যাচ্ছি ?  এখন আর আমি সেই আগের মিডি নেই।
এখন আর আমার আগের মতো ভালবাসতে ইচ্ছে করেনা ! না ইচ্ছে করে সবাইকে আপন ভাবতে। আমি অনেক পাল্টে গিয়েছি পরী !
এখন আর কল্পনা, স্বপ্ন এগুলো ভালো লাগে না...মনে হয় এগুলো শুধু একেকটা শব্দ ছাড়া কিছু না ! আমি কোনো এক ব্যাস্ত শহড়ের ভিড়ের মাঝে আটকে গিয়েছি। থেমে গিয়েছে আমার স্বত্বা। হাজার চাইলেও কেনো যেনো আমি আর আমার ভেতরকার হারিয়ে যাওয়া ভিড়ের মাঝেকার সেই মিডি কে খুঁজে পাই না ! অনেক ভিরেও এখন আমি একা খুবই একা...
মাঝে মাঝে মনে হয়, মৃত্যুর পর হয়তো তোমার দেখা পাবো। হয়তো বা কোনো নরকে বা স্বর্গে !  তবে নিজের কোনো জগতে......

জানো আজ আকাশে অনেক সুন্দর একটি চাঁদ উঠেছে, সম্ভবত আজ জ্যোৎস্না ! আমি সে জ্যোৎস্না আমার হৃদয় গহীন থেকে অনুভব করছি... আষাঢ়ের এই জ্যোৎস্না দেখার মাঝে আমার বিশেষ ভালো লাগা কাজ করে আর তা হচ্ছে আকাশের ধোঁয়ার মতো ভেসে ভেসে যাওয়া সাদা মেঘগুলো !! অনেক ভালো লাগে আমার রাত জেগে আকাশ দেখতে আর এমন রাত তো ভালবাসারো উদ্ধে ! কারন কল্পনায় যেথায় তুমি পাশে আছো সেখানে কষ্ট তো আমাকে ছোঁয়ারও সাহস পাবেনা।
 এমন কোনো এক জ্যোৎস্নাময় আষাঢ়ের  রাতে তুমি আর আমি বারান্দায় বসে আছি, চারপাশে মোমের আলো আর প্রদীপ গুলো টীপ টীপ করে জ্বলছে !
তোমার পরনে লাল শাড়ি আর কপালে লাল টিপ, বাতাসে খোলা চুল গুলো একদমি ছন্নছারা হয়ে উড়ছে... যেনো মানতেই চাচ্ছে না, আর আমি সেগুলো একটু পর পর ঠিক করে দিচ্ছি । তুমি আমার পাশে বসে আছো আমার হাতটি ধরে এতোটাই শক্ত করে যেনো ছেড়ে দিলে আমি পালিয়ে যাবো ! বার বার বলছো ‘ আহা... খোলা চুল না তোমার ভালো লাগে তাহলে আবার আমার চুল গুলো বার বার ঠিক করতে হবে কেন তোমার STUPID !!
আমি হেসে বলছি ... এ জন্যই তো ভালোবাসি...
অনুভুতির রাজ্যে আরো কাছে আসার আকুল আবদারে, হঠাৎ তুমি গেয়ে উঠলে...

“আমারো পড়ানো যাহা চায়...
তুমি তাই গো...
আমারো পড়ানো যাহা চায়...। ”

-অবয়ব সিদ্দিকী মিডিয়া 

  
ছবিঃ সংগৃহীত