মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০১৪

Burning letter to SHOPNOPORI !

প্রিয় স্বপ্নপরী,
চিঠি টা লিখতে বেশ কষ্ট হচ্ছে, দিনের দিন অসুস্থতা একটু বেশীই খারাপের দিকে যাচ্ছে । এখন অনেক ভোর, সারা টা রাত অনেক কষ্টে পার করলাম। মাথা টা এতো বেশী ধরে আছে যে বাহিরের চড়ই পাখি টার ডাকও ভালো ভাবে শুনতে পাচ্ছি না, কেমন যেনো দূর থেকে ভেসে আসছে ওদের ডাক।মাথার যন্ত্রণা এতই বেশী যে সব কিছুই বিরক্ত লাগছে তার উপর জানই তো আমার ঘুমানোর একদমই অভ্যাস নেই, চাইলেও ঘুম আসে না । বাইরে এতক্ষনে রোদ উঠে যাওয়ার কথা কিন্তু রোদ নেই,মনে হচ্ছে বৃষ্টি আসবে।
আসুক... বৃষ্টিই আসুক ! বুকে কেমন যেনো একটা যন্ত্রনা হচ্ছে, মনে হচ্ছে যে কোনো সময় নিঃশ্বাস টা বন্ধ হয়ে আসবে !
আচ্ছা, ধুর... কি থেকে কি যে বলছি... অনেক কষ্টে লিখতে বসেছি আর এসব লিখছি।আমি সত্যিই দিনের দিন খুব বেশী বেরসিক হয়ে যাচ্ছি। না এতোটা আন-রোম্যান্টিকও না আমি ! আসলে কি ইদানিং মনের কথা গুলো বলতে ইচ্ছে করেনা। বা বলতেও পারি না...অনেক কথা যমে গেলে এভাবে তোমাকে লিখতে শুরু করে দেই। আগের মতো ডায়রিটাও আর লিখা হয় না। যা লিখা সব এই ভার্চুয়াল জগতে । আচ্ছা, তুমিও তো ভার্চুয়াল তাইনা ? শুধু আমার নিজের তৈরি করা এক কল্পনা মাত্র, আর তো কিছুই না ? তাও তোমাকে এতোটা কেনো ভালবাসি বলতে পারবে ? স্বপ্নপরী স্বপ্নপরী করতে করতে আমি অস্থির... এখন আর আমার এসব নিয়ে লেখাটাও কেও পড়ে না। সবার কি এতো সময় আছে বলো ? কিন্তু লিখি তো তোমাকে... তুমিই যে নাই !
জানো ? খুব ইচ্ছে করছে,তোমার হাতের একটু ছোঁয়া পেতে ? মনে হচ্ছে মাথায় যদি একটু হাত বুলিয়ে দিতে তাতে হয়তো একটু শান্তি মিলতো। তোমার হাতের স্পর্শ যে আমার জন্য সব ডাক্তার আর ডাক্তারনিদের ওষুধ এরও উদ্ধে ।
মাঝে মাঝে কি মনে হয় জানো ? আমার যখন খুব খারাপ অবস্থা হবে মানে আমি যখন একদম মৃত্যুর দাড় প্রান্তে শুয়ে থাকবো, হসপিটালের ডাক্তার,আব্বু-আম্মু সবাই যখন আশা ছেড়ে দিবে তখন তুমি এসে আমার কপালে একটা চুমু দিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে বলবে 'অনেক হয়েছে উঠো তো, ঢং ! আর অভিনয় করতে হবেনা...এসে পরেছি আমি , উঠো বলছি... উঠো ।'
তখন মানে সে মুহূর্তে আমি উঠতে পারবো কিনা জানিনা তবে সৃষ্টিকর্তার কাছে করতরে প্রার্থনা করবো যে এই জনমে তো মিললো না কিন্তু পরের জনম বলতে যদি সত্যি কিছু থেকে থাকে সেথায় যেনো তোমার দেখা পাই বা যেথাই যাই তোমায় সত্যিকার ভাবে যেনো দেখি একবার ! শুনেছি মানে আমার বাবা বলেছিলো একবার 'যারা নেক কাজ করে পবিত্র থাকে তারা জীবনে একবার হলেও তার সত্ত্বা-সঙ্গিনীর দেখা পায় ।' আমিও সে অপেক্ষাতে আছি...
আর একটা অনুরোধ থাকবে উপরাল্লাহ'র কাছে সে যেনো তোমার রুপে অন্যকাওকে না পাঠায় আমাকে কষ্ট দেয়ার জন্য।সে কষ্ট আমি রাখতে পারবো না। আমি অনেক বোকা তাই বলে এতোটাও কষ্ট আমি প্রাপ্যতার ভাগিদার না।
একি ? তুমি হাসছো কেনো !?
এ কেমন হাসি স্বপ্নপরী ? চোখে পানি আবার মুখে হাসি ? চোখের যে কাজল গুলো দিয়েছিলে আমার জন্য সেগুলো যে নষ্ট হয়ে গেলো পরী ?
আর পারছিনা,তোমার হাত টা একটু দিবে ? প্লিজ ? অনেক বেশী ধরতে ইচ্ছে করছে।
কি দিবেনা ?
না না... ছেড়ে দিবোনা !
অনেক যন্ত্রনা হচ্ছে,
প্লিজ হাত টা দাও,
একটু ছুঁয়ে দেই.........


-স্বপ্নবাজ


বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০১৪

এক ছোট্ট শহড়ে তুমি আর আমি ?

স্বপ্নপরী, 
অনেকদিন হয় তোমায় নিয়ে কিছু লিখিনা । কোথাও ঘুরেও আসি না তোমার আর আমার স্বপ্ন জগতে। চলো আজ ঘুরে আসি ? তোমায় নিয়ে অনেক ঘুরতে ইচ্ছে করছে । 

চলো হারিয়ে যাই কোনো এক ছোট্ট শহড়ে, জানো তো এসব বড় বড় শহড়ের চাইতে ছোট্ট শহড় গুলোতে বেশী ভালো লাগা কাজ করে ? অনেক শান্তি এবং নীরবতা সেখানে। আর আমাদের তো নীরবতা আর শান্তিটাই ভালো লাগে তাইনা? যাবে আমার সাথে ? আমি তোমায় নিয়ে যাবো আমার পরিচিত এক ছোট্ট শহড়ে।
যেথায়, তোমার আর আমার একটা ঘর থাকবে শহড় থেকেও ভিতরে,গাছ-গাছালির ভেতর দিয়ে যে সরু রাস্তা চলে গিয়েছে সে রাস্তার পারে । আমি সেখানে তোমাকে একটা সাইকেল দিবো? তুমি সাইকেল করে ঘুরে বেড়াবে আর আমি তোমার সাইকেলে করে ঘুরে বেড়ানোর ছবি তুলবো ।
আমাদের ঘর থেকেই বেশ কিছুদূরে একটা খালের মতো রয়েছে ! এখনো জানিনা সেটা খাল নাকি ছোট নদী ! আমি এসব কম বুঝি জানই তো ? একদিন তোমায় নিয়ে সে খালে নৌকা নিয়ে বেড়াবো।না পানি বেশী না, আমি-তুমি কেও সাতার জানি না তবে এতোটুকু পানিতে আমরা দুজনেই নিরাপদ। আমি আর তুমি দুজনে নৌকা চালাবো দুপাশ হতে এবং সে খালের একটি জায়গায় নিয়ে যাবো তোমায়। অদ্ভুত এক যায়গা, চারপাশে কোনো কিছুই নেই কিন্তু খালের শুধু একটা যায়গায় সারি করে দুপাশে বড় বড় গাছ চলে গিয়েছে। সেখানে কিছুক্ষন থেমে আমারা আবার ফিরে আসবো । একি !! সেখানে যেয়ে ফিরতে না ফিরতেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো ! এখন কি করা যায় ? চলো পারে যেয়ে একটি গাছের নিচে দাড়াই ? না ! তোমার তো আবার ক্ষিদে পেয়েছে?
আচ্ছা, বৃষ্টি টা একটু কমলেই এক দৌড়ে শহরের ওপাশের রেস্তেরাতে গিয়ে বসবো।
সন্ধ্যে হয়ে গেলো তো, রেস্তেরা তে বসে অর্ডার দেয়ার পড় থেকে খাবারের কোনো হদিস থাকে না।
আর তুমিও দেখি ক্ষিদের কথা ভুলেই গিয়েছো, সেই কখন থেকে কথা বলেই যাচ্ছো আর হেসেই যাচ্ছো। জানো, তোমার হাঁসি দেখতে দেখতে আমি আমার খাওয়ার কথাও ভুলে গিয়েছিলাম।
সন্ধ্যে পেরিয়ে রাত হয়ে গেলো এবং আমাদের খাওয়া শেষ। কি ভাবছো ? আমি কৌশলে তোমার সাথে আরেকটি Candle Light Dinner করে ফেললাম ? হা হা হা... ভাবতেই পারো ! না এটা আমার Pre-Plan ছিলো না মোটেও এবং এই রেস্তেরার কাওকে আমি চিনি না ! ইয়ে মানে সত্যিই বলছি বিশ্বাস করো ? যাইহোক, তোমার জন্য একটা গিফট কিনেছিলাম, নিবে না ?
আমি বরং দেখি বিলটা দেয়ার কাওকে খুজে পাই নাকি ? রেস্তারায় কাওকেই দেখছি না ।

আচ্ছা, রেস্তরায় কি সাম্বা গান বাজছে ? কিভাবে ? তোমার খুব ফেভারেট ! দাড়াও আমি সাউন্ড বাড়িয়ে দিচ্ছি।বুঝতেই পারছো পুরো রেস্তেরায় এখন তুমি আর আমি তো সাম্বা গান এর সাথে যুগল সাম্বা নাচ তো দিতেই হবে। তুমি আর আমি ? আজ বেশ রোম্যান্টিক মুড এ আছি তো আজ তোমার সাথে নাচতে আমার কোনো আপত্তি নেই।

এমন একটা দিন সত্যি শেষ হওয়া উচিত না, এমন একটা Dateও শেষ হওয়া উচিত না আর এমন একটা চিঠিও শেষ হওয়া উচিত না যেখানে আমি একমাত্র তোমাকে নিয়ে হারিয়ে যাই আমার কোনো এক অজানা কল্পনার জগতে যাকে আমি নাম দিয়েছি Fantasy World !
Sometime we need fantasy,right ? because a little bit of fantasy make us feel to relieved and good to back in our real world.

যাইহোক, রাতটা তোমার চোখের পাতায় আর তোমার চুলের খোঁপায় কাটিয়ে দিতে চাই।যদিও আমার খোলা চুল পছন্দ তবে আজ কেন যেনো তোমায় খোঁপা করা দেখতেই ভালো লাগছে।কপালের টিপ টাও বেশ ভালো লাগছে। যেখানেই থাকো তুমি ভালো থেকো আর অনেক অনেক সুখে থাকো... পারলে দেখা দিও...

-অন্তহীন অপেক্ষারত
সপ্নবাজ !