মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৩

পাহাড়ের দেশে !!

স্বপ্নপরী,
তোমাকে নিয়ে চলে যেতে চাই এক পাহাড়ের দেশে...
যে দেশে স্বপ্ন বাসা বাঁধে বিশাল আকাশে, যে দেশে চোখ হারায় দূরের নীলিমায়
এবং হৃদয়ের আয়নায় নিজেকে মুক্ত মনে হয় আকাশে জোড়া শালিকের মতো।
কি যাবে, আমার সাথে ?
যেখানে এক ছোট্ট ঘরে বাসা বাঁধবো মোরা। তোমার আর আমার স্বপ্ন কুটির !
তুমি যখন রাঁধবে আমি তখন তোমার চুল বেঁধে দিবো...
আমি যখন ফিরবো ঘাম মাখা শরীর নিয়ে...
তুমি এসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিবে...
তোমার দুস্টমি যেথায় আমার শাসনের কাছে নিছক এক আদরে হারিয়ে যাওয়ার গল্প
যেখানে ভোরে তোমার আলতো হাতের ছোঁয়াতে এবং ঐ হাল্কা ঠোটের নীরব ডাকে আমার ঘুম ভাঙবে এক নতুন স্বর্গে !!
তারপর পাহারের উপর-নিচ পথ ধরে আমরা হেটে যাবো একই সাথে,ভোরের আলো মাখবো বলে।
যেথায়,তোমার স্বপ্নের বেলকুনি দিয়ে উদাস তোমার চোখের মাঝে পুরো চাঁদ টাই দেখা যাবে এবং তোমার পাশে অবসরে যখন হাল্কা গরম চায়ের কাপ নিয়ে দাঁড়াবো তখন সুখের তারা গুলো মিটিমিটি করবে।
বৃষ্টি যেথায় তোমার মেঘলা আকাশে যেনো বার্তা নিয়ে আসে প্রতিমুহূর্তে তোমায় আর আমায় এক মুহূর্তে আটকাতে...
ঘাসের চাঁদরে যেথায় ফুটে থাকা কোনো ঘাস ফুল দেখে তুমি তা আদরে নিজের আলতো হাতে নিয়ে আমায় দেখাবে যেনো এক ঘাসফুলি তোমায় এনে দিতে পারে হাজার সহস্র হাসি...
ফুঁ দিয়ে সে ঘাসফুলে তুমি স্বপ্নের জোনাকি জ্বালাও... ঠিক তোমার টোল পড়া গালের হাসির মতো
কি ? কি ভাবছো ?
ভাবছো... হঠাৎ করে তোমার সপ্নবাজ নরক বালক পাগল হয়ে গেলো না তো ?
ভাবতেই পারো... ভেবে দেখো তো। আমাকে ছেড়ে খুব ভালো হয়েছে কি তোমার ?
এ স্বপ্নগুলো দিয়ে এখন আমি কি করবো সপ্নপরী ?
বলে দাও...
সযতনে রেখে দিবো নাকি স্বপ্নের মৃত্যু ঘটাবো ?
স্বপ্নপরী... ভেবে দেখো !! বুড়ো হয়ে মরে যাওয়ার সময়েও এই বুড়া তোমার পাশেই থাকবে তোমার দুটি হাত সযতনে ধরে... যেমনটি স্বপ্নবাজ হয়ে ধরে আছে সঙ্গোপনে 


-অবয়ব সিদ্দিকী মিডিয়া 




সাগর পারে তুমি !

মনে করো কোন এক পড়ন্ত বিকেলে,
সমুদ্রের পারে তুমি একা দাঁড়িয়ে আছো। তোমার চোখে দূর আকাশের স্বপ্ন ভড় করে আছে যে স্বপ্নের ঘোর যেথায় সমুদ্র আর আকাশের সন্ধিক্ষন,সে পর্যন্ত চলে গিয়েছে কখন তাও জানো না !
দাঁড়িয়ে আছো তুমি, জীবনের অনেকটাই পার করে দিয়েছো কিন্তু কখনো নিজেকে শান্তি দিতে পারো নি কিন্তু আজ সে শান্তি কেন যেনো কোনো কারন ছাড়াই তোমার মাঝে এসে বাসা বাঁধতে চাইছে।
সমুদ্রের এলোমেলো বাতাস গুলো তোমার মাথার আংশিক ছেড়ে দেয়া চুল গুলোর সাথে এক জাদুকরী খেলায় মঘ্ন আর তুমি দাঁড়িয়ে ভাজ করা হাত গুলো নিজের বুকের মাঝে রেখে এক দীর্ঘ শ্বাস নেয়ার সুখ অনুভুত করছো।
নিজেকে মেলে ধরেছো আজ আকাশ পানে, যেমনটি সমুদ্রের তীর ঘেঁসে পাখি গুলো উরে যাচ্ছে।
কি এক গোধুলির মাঝে হারিয়েছিলে ভাবছো !
নিজেকে হঠাৎ করেই অনেক বড় মনে হচ্ছে তোমার,কিন্তু সে সাথে অনেক হাল্কা এক অনুভূতি যেনো কতোদিন ধরে হারিয়ে ছিলে কোথায় নিজেই জানো না। আজ নিজেকে কেন যেনো এই সমুদ্র কোলে এসে ফিরে পাচ্ছো।
পানিকে ভয় হয় তোমার তবুও আজ দুটি পা পানিতে ভেজাতে খুব ইচ্ছে করছে তাতে যদি মনে একটু শীতল কোনো ছোঁয়া লাগে।
এগিয়ে গেলে সমুদ্রের অল্প পানির কাছে,আলতো করে পা বাড়িয়ে দিলে। ছোঁবে না ছোঁবে এমন দ্বিধা দন্দে শেষ পর্যন্ত ছুঁয়ে দিলে এবং নিমিষেই বুঝতে পারলে সত্যি সাগর তোমায় ছুঁয়ে দিয়েছে শীতল ভাবে।
ভাবছো, অনেকটা পথ পারি দিয়ে এমন স্বর্গীয় অনুভূতি কখনই তোমার হয়নি ? সর্বদা যেথায় সুখ খুজেছো,সেথায় মিলেছে সুখের বিপরীত শব্দ ! আজ নিজের মাঝেই নিজে সুখ কি করে খুঁজে পাচ্ছো ?
তোমার ভাবার অভ্যাস টা কখনই গেলো না। সুখ তো মানুষ নিজের মাঝেই খুঁজে পায়। কিভাবে সে ব্যাখ্যা অন্য কখনো না হয় বোঝাবো।
সন্ধার সাথে তোমার এমন খেলা চলছিলো আপন প্রানে, হঠাৎ দেখলে বিকেল শেষ আর সন্ধে গরিয়ে রাত নেমে এসেছে। ফিরতে হবে কিন্তু ফেরার মন তো চায়না...
মুখ ফিরিয়ে হঠাৎ পিছলে গেলে,আচমকা তোমার হাতে এক ঝাঁপটা টানে তোমাকে সযতনে ধরে ফেললো স্বপ্নবাজ (!)

চলো,রাত হয়ে গিয়েছে
-আরো কিছুক্ষন থাকি?
ঠাণ্ডা করবে যে
-তাতে কি,তুমি তো আছো
আমি কি তোমার ঠাণ্ডা থামাতে পারবো, পাগলী ?
-না,কিন্তু ঠাণ্ডা লাগলে সে জ্বালা তো সহ্য করতে পারবে
ঠাণ্ডা লাগবে তোমার, জ্বালা সহ্য করবো আমি?
-তাইতো করে এসেছো?
হাহ,বাদ দাও তো। এখন চলো
-একটু তোমার কাঁধে মাথা রাখতে দাও,প্লীজ ?
না করেছি কখনো,দাও তোমার হাত টি ধরি
-আমার সত্যি ঠাণ্ডা লাগছেনা
আমি হাত ধরতে চাইছি
-আমি জানি তোমার কাঁধে মাথা রাখার একমিনিট পরেই তুমি আমাকে তোমার বুকে নিয়ে যাবে যাতে আমার ঠাণ্ডা না লাগে। তুমিনা...
আচ্ছা,তাতে কি তোমার সমুদ্র বিলাশে কোনো অসুবিধে হবে ? আমিতো তোমাকে বুকেই রাখছি তাইনা? এতে তো আরো রোমান্টিক রোমান্টিক একটা ব্যাপার কাজ করা উচিত 
-শোন,আমি জানি সব,বুঝি সব...হাহ !!
তাই,সব বুঝো ?
-বুকে রাখবে তো সবসময় ?
শূন্য হয়ে যাবে তো
-মানে ?
তোমায় না রাখলে
-অন্য কেও আসবে না তো শুন্য...
চুপ ! বেশী কথা বলো তুমি,এখন মেজাজ খারাপ করো না তো এই সব মেয়েলী কথা বলে
-হি হি হি, কানে ধরলাম 'সরি'
হুম... অনেক হয়েছে এখন আমার বুকে মাথা রেখেই চলো। সমুদ্রের সাথে অনেক ভালবাসা হয়েছে আপনার
-জানো কিছুক্ষন আগে ভাবছিলাম...
জানি,স্বর্গীয় সুখ... ?
-কি করে জানো ?
কারন,ভালবাসি...
হারাবে না তোমার স্বর্গীয় সুখ বিশ্বাস রাখো,এ সুখ তোমার নিজের প্রাপ্তি
এই সমুদ্র তোমায় তোমার সুখই এতোক্ষন ফিরিয়ে দিচ্ছিলো। 



-অবয়ব সিদ্দিকী মিডিয়া 


শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৩

নরক !! (the hell journey)

কোথায় আছি আমি ?
হুম... পৃথিবী তে ?
সব কিছু তো দেখতে পৃথিবীর মতই কিন্তু অচেনা সব কিছু...

আকাশ টা অনেক বেশী হলদে,যেনো আগুনের লীলাভূমি !
চারিদিকে মরুভুমির মতো শুন্য... খুব পিপাসা পেয়েছে আমার কিন্তু কোথাও পানি দেখছি না ।
শূন্যে ভেসে বেড়াচ্ছি... যেদিকেই যাই শুধু আগুনের উত্তাপ !

আচ্ছা,এখানে কি আমি একাই ? আর কাও কে দেখছিনা কেনো ?
উউউফ...আগুনের ঝাঁপটা এসে লাগছে আর আমার দেহ টা কে বিবর্ণ করে দিচ্ছে
আমার স্বত্বা দেখছে কি ভাবে পুড়ছি আমি...

আগুনের প্রতিটি কনায় কনায় আমার দেহ পুড়ছে
পুড়তে পুড়তে আমার মানুষরূপি মুখ খানি এখন আর মানুষের মতো নেই।
পরিণত হয়েছে কোনো এক বীভৎস পশুর মতো ।

আমার স্বত্বা আমার কাছে নেই !
শুনতে পাচ্ছি কিছু কিছু  হা হা কার এবং বীভৎস হাসির আওয়াজ চারপাশ থেকে...
হঠাৎ খুব তীক্ষ্ণ আওয়াজ শুনতে পেলাম, উউফ !!
তীক্ষ্ণ শব্দ টি খুব ক্রমেই বেড়ে চলছে...
আমার মস্তিষ্কের  রক্ত কণা আর শিরায় শিরায় যেয়ে আহত করছে আমাকে।

একি !!!
আবার কোথায় এলাম আমি ?

একটি অন্ধকার ঘর
চারদিক খুবই অন্ধকার !!
খুব শীতল একটি ঘর,
ঠাণ্ডায় অনেক কাপছি আমি... আমার দেহে কোনো  বস্র নেই !

হঠাৎ ঘরটি তে কোথাও হতে আলোর একটি রেখা এসে আমার চোখে লাগলো
অন্ধকারের মাঝে হঠাৎ আলোর রেখায় আমার চোখ রক্তাক্ত হয়ে গেলো
আমার চোখ দিয়ে রক্ত পড়ছে !!

আবার সব অন্ধকার !
কিছুই বুঝতে পারছিনা আমি !?
কোথায় আমি ? নরকে ??
একেই কি নরক বলে ?
এটাই কি নরক ?

তাহলে একটু পর পর আমি নরকের রুপ বদলাতে দেখছি কেনো?
একবার পৃথিবীর মতো,আবার আগুনের লীলাভূমি আবার শীতল কোনো ঘর !
হঠাৎ কুকুরের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি,
এখন আমি আর কোনো কিছুই অনুভব করতে পারছি না
কুকুরের আওয়াজ টি ক্রমেই কাছে আসছে

হঠাৎ কিছু বীভৎস চেহারার কিছু প্রানি দেখতে পেলাম,
আমআকে নিষ্ঠুর ভাবে কামড়াচ্ছে !!
আমার সারা শরীর দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে...শুধু রক্ত রক্ত আর রক্ত !!

উউউফফ... আমি কি কোনো দুঃস্বপ্ন দেখছি নাকি সত্যি আমি আজ নরকে ?

আচমকাই আমার স্বত্বা আমাকে জানান দিলো............

মিডি,তুমি নরকে...

Medi... u r in hell !! dnt u knw hell is in the depth middle in the earth !!
that’s why u find some similarity with the earth about hell. And in the hell
everything is invisible...and changeable...there r no peace. u'll face so many changes
withing after few seconds and seconds !! 
sometime it will seems like u r in earth bt so alone...sometime it will feels like
burn ur whole body,sometime  cold in a dark room....sometime beaten u rapidly by Hellhounds !!



Run medi....run.......just run.....u'll find a way to escape.....but u have to run....!!


call ur allah rapidly b’coz  i'm  ur soul and i know u !! u enter to hell so
u can exit from it......but aware from DEVIL or DEMONS !!
If they will catch u,i will exit from ur body forever nd u'll be like a dust in hell.........."

এগুলা কি শুনতে পেলাম আমি ?
আমার স্বত্বা আমার সাথে নেই !!?? আমি ইচ্ছা করে কিভাবে নরকে আসবো?
এও কি সম্ভব ?
আবার আমিই পারবো নরক থেকে বের হতে?

পৃথিবীতে কি এতোটাই পাপী ছিলাম যে মৃত্যুর পর আমার এমন অবস্থা হচ্ছে?
আমার উপর কি এতোই অভিশাপ  জমা হয়েছে যে আমি নিজেও বলতে পারছিনা কেনো আমি আজ নরকে ??

হঠাৎ অচেনা এক রাস্তায় চলে এলাম
পাশ দিয়ে আঁকাবাঁকা ভাবে বয়ে গেছে গাছ-গাছালির ঘন বন,এর মাঝ দিয়েই রাস্তা
আর সে রাস্তাতেই এতক্ষন দৌড়াচ্ছিলাম আমি...নিজেই জানিনা !
পিছে তাকিয়ে দেখি বীভৎস সেই প্রানি গুলো এগিয়ে আসছে...
আবারো কামড়াবে ?
আমি দৌড়াতে শুরু করলাম...
 দৌড়াচ্ছি আর দৌড়াচ্ছি,
একলা,অসহায়  ভাবে শুধু দৌড়াচ্ছি !!
কোনো ব্যাথা, কোনো অনুভূতি নেই আমার...
শুধু দেখছি হঠাৎ অন্ধকার আবার হঠাৎ আলো,
আমি শুধু অচেনা রাস্তা বেয়ে দৌড়াচ্ছি আর ঐ পিশাচ চেহেরার মতো মানুষের মতো দেখতে বীভৎস প্রানি গুলো পিছু লেগে আছে...
ওরা পিছ দিকে টানছে আমায়...
আমি দৌড়াচ্ছি... নরকের যন্ত্রণায় আমি মুহূর্তে মুহূর্তে  এখান থেকে সেখানে
কোথা থেকে যে কোথায় যাচ্ছি আমি নিজেও জানিনা...
আমি শুধু দৌড়াচ্ছি !!

a sequel part from the previous session called  “মৃত্যুময়ী কল্পনা আমার” !
To be continued….


-অবয়ব সিদ্দিকী মিডিয়া 


রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৩

মৃত্যু !! (কল্পনাময়ী মৃত্যু আমার-II)

সব ভালবাসা আর কান্নাময় চোখগুলো ভিজিয়ে ব্রেইন টিউমার আমাকে আর  এই মায়া ভরা পৃথিবীতে বাঁচতে দিলো না...

শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার অনুভূতি টা ছিলো অনেক আনন্দের সাথে অনেক বেশী কস্টের !
আনন্দের এ জন্যই যে আমি চলে যাচ্ছি, শেষ হয়ে যাচ্ছে আমার অস্তিত্ব।
আমাকে আর রাতের পড় রাত কষ্ট করে ঘুমহীন চোখে লোনাময় পানি ফেলতে হবে না।
আমাকে আর এই পৃথিবীর কঠিন বাস্তবতা  দেখতে হবেনা যেথায় মানুষ নামের  অমানুষ বেড়ে যাচ্ছে দিনেকদিন...যাদের কষ্টে আমিও অনেক আহত হয়েছি।
শেষ পর্যন্ত রক্ষা পেলাম তাদের থেকে।

আর কষ্ট হচ্ছে “বাবা-মা” !!
একটি সন্তান আমি তাদের,কি নিয়ে থাকবে তারা ?
তাদের অসহায় করে চলে যাচ্ছি।
মা টার হাওমাও করে কান্নার শব্দ শেষ নিঃশ্বাস ছাড়া পর্যন্ত কানে ভেসে আসছিলো,
আর চোখে বাবাকে দেখতে পেলাম এক মুহূর্ত ! পাথরের মত বসে আছে এক কোনায় আর পাথর থেকে যেনো টিপ টিপ করে পানি পড়ছে...

কেও আমাকে যেতে দিতেই চাচ্ছেনা !!

আমার আপু টা কে দেখতে পারছিনা। হয়তো ভাইয়ার চলে যাওয়া সে কোনো অন্তরাল থেকে দেখছে আর ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে আর ভাইয়া ভাইয়া বলে ডাকছে কিন্তু সে শব্দ যে কানে আসছে না।

সপ্নপরী টা হঠাৎ ঘোলাটে হয়ে চলে আসলো আর বলল “আমায় ছেড়ে চলে যাচ্ছো?”
এই তুমি বলেছিলে আমাকে কখনো হাত ছাড়বেনা ?
এই তোমার ভালবাসা,তাইনা?
আমাকে একা রেখে চলে যাবে?
কোনো উত্তর দেয়ার মতো শক্তি বা ক্ষমতা কোনোটাই পাচ্ছিলাম না।

শেষ বারের মতো চোখটা একটু খুলতে চাইলাম কিন্তু হঠাৎ করেই আমার প্রিয় দাদু ভাই এসে গেলো !!
আমাকে বলতে লাগলো “দাদু ভাই...আর তো চোখ খুলতে পারবেনা। খুলেই বা কি হবে বলো ? তারচেয়ে  বরং আমার হাত টা ধরো এবং চলো”
আমি জিজ্ঞেস করলাম ‘কোথায় নিয়ে যাচ্ছো আমায়?’
দাদু ভাই বলল “সেটা গেলেই দেখতে পারবে,এই পৃথিবীতে তো আর তোমার যায়গা নেই দাদু ভাই। এখন থেকে সেই আগের মতো আমার সঙ্গি তুমি।
তুমি আমার হাত টা ধরো”......!!

মৃত্যুর ১০ বছর পড়......

মাঃ এখনো আমার ফ্রেম এ বাঁধা ছবির দিকে অপলক দৃষ্টি তে তাকিয়ে থাকে
আর কাদে,বলে তার বাবা এই করতো,সেই করতো !
আলতো করে হাত বুলিয়ে তারপর ছবিটা বুকে জরিয়ে নেয়  !
যেনো ছবিটাই তার এখন তার একমাত্র সম্বল।,
কখনো বুঝতে পারিনি আমার মা আমাকে এতোটা জানে,ভালবাসে ?
আমার সব গোপন কষ্ট,দুঃখ, আনন্দ, হাঁসি, সুখ, সব কিছুই সে জানে !!
এতোটা ভালো বোধয় সব মায়েরাই তার সন্তান কে বাসে,তাইনা ?
এ কি বলছি বোকার মতো ? সে যে মা ! “মা”


বাবাঃ হঠাৎ হঠাৎ আমার কথা ভেবে আনমনা হয়ে পরে...অনেক বয়স হয়ে গেছে তবুও হঠাৎ দাঁড়িয়ে দেয়ালে টাঙানো আমার ছবির দিকেতাকিয়ে এক নাগারে চুপ করে থাকে অনেকক্ষণ তারপর তার চোখ বেয়ে গরিয়ে পড়া অশ্রুকণা গুলো বলে দেয় বাবার ভেতর টায় কি বয়ে যাচ্ছে।
বাবারাও বোধয় এমনি হয়,পাথরের মতো শক্ত আবার ভিতরে নরম...সন্তানের জন্য নিজের সবটুকু দিতে পারে,তাইনা?

আপুঃ আপন কোনো বোন আমার ভাগ্যে জুটে নাই তবুও আমার এই আপু টা আমার আপন এর চাইতেও বেশী।আমার আপু টা বেশ সুখী তার জীবনে এখন।
ওর সব স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে ধীরে ধীরে তবুও কিছু কষ্ট তো থাকেই।
মাঝে মাঝে আমার কথা মনে করে কেঁদে ওঠে আর তখন ওর হাত ধরে তখন ওর ভালবাসার মানুষটি ওকে সান্ত্বনা দেয়। দু এক ফোঁটা জল পড়তে থাকে তারপর থেমে যায়...সেই দু এক ফোঁটাতেই হয়তো ওর ভাইয়া ওর মাঝে বেঁচে আছে !

সপ্নপরীঃ স্বপ্নের রাজ্যে যাকে সবসময় পরী করে রেখেছিলাম সে এখন আর আমার নেই... কারন আমার তো অস্তিত্বই নেই ! স্বত্বার মাঝে আমি তাকে পাইনি তাই তার থেকে আমি আজ অনেক দূরে।
স্বপ্ন রাজ্যে আমার পরী তার কোনো স্বপ্ন রাজাকে খুঁজে পেয়েছে এবং তাকে নিয়ে সে ভালোই আছে।
ঐ রাজা আমার স্বপ্নপরীকে নাকি অনেক ভালবাসে,আমার চাইতেও বেশী ?
নাহ !! আমার চাইতেও বেশী আমার সপ্নপরী কে কেও ভালবাসতে পারেনা তা আমি হরফ করে বলতে পারি কারন... আমি যে এখনো মৃত স্বত্বার মাঝেও সপ্নবাজ হয়ে সপ্নপরী কে ভালবাসি।

সপ্নপরী নাকি তার রাজাকে আমার কাহিনী শোনায় !! তার রাজা অনেক ভালো তাই আমার কথা শুনেও তার হিংসা হয়না বরং আমার সপ্নপরীকে তার বুকে জড়িয়ে নেয়। তখন আমার সপ্নপরী পৃথিবীর সেই সুখটুকুই পায় যা আমি তাকে দিতে চেয়েছি সর্বদা...
সেই মুহূর্তে আমার যায়গা সেখানে কতোটুকু আমি জানিনা বা আছেই কিনা তাও বলতে পারবো না।

বন্ধুরাঃ মিডি নামের একটা দোস্ত ছিলো... এখন আর নেই !! অনেক হারামি ছিলো... কেন যে এই ভাবে চলে গেলো ও !!


মানুষের মৃত্যু মানুষকে অনেক দূরে নিয়ে যায়
আমাকেও অনেক অনেক অনেক দূরে নিয়ে এসেছে
তবে স্বত্বার কোনো মৃত্যু নেই
আমার স্বত্বায় এখনো আমি বিচরন করি !
মায়ের চোখের জলে
বাবার থমকে যাওয়া চোখের ঝলকানিতে
আপুর স্মৃতির মাঝে
আর
সপ্নপরীর কোনো এক হারিয়ে যাওয়া অতীতে......

তবুও আজ বিচরন করি আমি পৃথিবীর মাঝে না হয় অন্য কোথাও
স্বত্বার মাঝে খুঁজে পাই আপন হারানোর বেদনা টা কে
হাসি সময়ের গতি দেখে
মানুষের ভালবাসার সীমাবদ্ধতা দেখে
তবুও ভাবি ‘মৃত্যু মানুষকে দূরে নিয়ে যায় তবুও কোথাও না কোথাও বাচিয়ে রাখে’  

 এখানেই না হয় মৃত্যু হলো আমার...

শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার অনুভূতি টা ছিলো অনেক আনন্দের সাথে অনেক বেশী কস্টের !
সত্যি বলছি ‘অনেক আনন্দের সাথে অনেক বেশী কস্টের !”


-অবয়ব সিদ্দিকী মিডিয়া  


                    মেঘলা আকাশে কষ্টের লীলাভূমি (Aboyob Siddiquie Medi's Photography C)


সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৩

বৃষ্টি ভেজা রাত !! (ডায়রির পাতা থেকে)

নয়ন সমুখে তুমি নাই
নয়নের মাঝখানে নিয়েছ যে ঠাই
আজি তাই
শ্যামলে শ্যামলে তুমি, নিলিমায় নীল ।
আমার নিখিল তোমাতে পেয়েছে তাঁর অন্তরের মিল...
নাহি জানি, কেহ নাহি জানি
তব সুর বাজে মোর গানে,

কবির অন্তরে,তুমি কবি
নও ছবি, নও ছবি... নও শুধু ছবি.........


রাতভর জেগে থাকা  আমার এক সময়কার অভ্যাস থাকলেও এখন তা রোগে পরিনত হয়ে গেছে।  তবে আজ রাত একটু ভিন্ন !! রাত ভরে আকাশ দেখতেও আমার অনেক ভালো লাগে !! একা মানুষ গুলো অনেকটা এমনি হয়...কারন তাদের একাকীত্ব জীবন টায় তাঁরা অনেক বেশী অগোছালো থাকে।  অনেকদিন হয় আকাশ দেখি না !! কারন হয়তো আগের মতো আর সপ্নে বাস করিনা... তাই আকাশ দেখা হয়ে ওঠেনা... কিন্তু আজ অনেকদিন পর রাতের আকাশ দেখছিলাম...
আকাশ দেখতে সবারি ভালো লাগে... সত্যি বলতে মনের শত আবেগ আর কষ্ট গুলো এক ভারী নিঃশ্বাস হয়ে বের হয়ে যায় যখন আমরা আকাশ পানে তাকাই !!
আজকের আকাশ বোধয় একটু বেশী উদাসী !!


তবে দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগছে... এ ভালোলাগার অনুভবকে আসলে কি বলে আখ্যায়িত করা যায় খুঁজে পাচ্ছিনা। আষাঢ়ের রাতের আকাশের এটাই এক মজার অনুভুতি !!
আজ আবার চাঁদও উঠেছে আর সে চাঁদ কে অনবরত অতিক্রম করে চলছে কিছু সাদা-কালো মেঘ,মেঘগুলো চাঁদের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে যা দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছিলো আর চারপাশে বইছে পাগলা হাওয়ার মতো বাতাস। অচেনা-অশান্ত বাতাস !
হঠাৎ করেই বুঝতে পারলাম আকাশের চাঁদটি আর বেশিক্ষন টিকছেনা !! মেঘ গুঁড় গুঁড় শব্দে আকাশ অনেক বেশী আবেগি হয়ে উঠেছে !!
তবে কি আজ, আমার মতো আকাশেরও মন খারাপ ?? ভালোই হলো, আষাঢ়ের রাতের বৃষ্টি এর কথা আর কি বলবো !! আসুক......

বেশিক্ষন অপেক্ষা করতে হলো না... শুরু হয়ে গেলো বৃষ্টি...
আষাঢ়ের প্রথম রাতভর বৃষ্টি !! আর এ বৃষ্টি থামার নয়......
এবার আষাঢ়ের আগমনে আমি সত্যি অনেক ক্ষোভভরা মনে ছিলাম,তাই বোধয় আমার সাথে ভাব জমাবার জন্যই হঠাৎ এভাবে বৃষ্টির আগমন !! বৃষ্টির প্রতি যে ক্ষোভ দেখিয়েছিলাম তা এখন একদমি নেই !!

মনটা ভয়ানক খারাপ হয়ে ছিলো...তাঁর উপর আবার আব্বু-আম্মুর অকারনেই আমার উপর তাদের অন্য বিষয়ের ক্ষোভ ঢালা ঝারি নিয়ে অনেকটা বেশী আওলা-ঝাওলা হয়ে অন্যমানষকই ছিলাম !!
ভাবছিলাম... মানুষের জীবন আসলে আষাঢ়ের মতই !! এই বৃষ্টিহীন আকাশে অসহ্য রোদের তাপ,রাতে চাঁদের সাথে সাদা-কালো মেঘের ভাব আবার হঠাৎ করেই কালো মেঘের আগমনে চিৎকার করে কান ফাটিয়ে আকাশের কান্না হয়ে বৃষ্টির আগমন !!
মানুষের জীবনে অনেক কষ্টই থাকে... কেও প্রকাশ করে আবার কেও প্রকাশ করতে পারেনা। আমি দ্বিতীয় গোত্রের মধ্যেই পড়ি আর এই দ্বিতীয় গোত্রের মানুষদের অবস্থা আসলেই অনেক করুন ! কারন না আছে তাদের চারিপাশে কেও আর না পারে তাঁরা মন খুলে কথা বলে মনের সবটুকু ঢেলে কথা বলতে। মনের কষ্ট গুলো চাপা দিতে দিতে তারা নিজেরাই একসময় এক অচেনা গহব্বরে হারিয়ে যায় যে নিজেকেই আর খুঁজে পায়না তারা ।

আকাশের সাদা মেঘ গুলোর পাশে যখন কালো মেঘগুলো এসে জমা হতে হয় ধিরে ধিরে তখন আকাশের সাদা মেঘগুলো সরে যায় এবং সেখানে কালো মেঘগুলো দখল নেয় ফলে পুরো আকাশটা তখন অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে যায় কিন্তু যখন কালো মেঘগুলো খুব ভয়নক অন্ধকার আঁধার বয়ে আনে তখন আকাশে বৃষ্টি নামে ।
কারন ঐ কালো মেঘগুলো থাকে আকাশের কষ্টের প্রতীক যা সাদা মেঘ গুলোকে সড়িয়ে দেয় এবং কষ্টের বাঁধ ভেঙ্গে যায় যখন আকাশের মেঘেরা তাদের কান্না থামাতে পারেনা,নেমা আসে বৃষ্টি !!
অবিরাম সে বৃষ্টি হয়তো অনেক্ষন চলে কিন্তু তা থেমেও যায় !! কিন্তু এ থেমে যাওয়ার মানেই কি সব থেমে যাওায়া ? সব শেষ হয়ে যাওয়া ?
অনেক কষ্টই আছে মানুষকে বয়ে চলতে হয়...হাজার চাইলেও সে অপ্রিয় সত্য কষ্ট গুলো মানুষকে খুরে খুরে খায় প্রতি নিয়ত।

একা মানুষগুলো অনেকটা অন্ধকারের চার দেয়ালে বাস করা আঁধারে ডুবে থাকা মানুষগুলো মতো !! রাতের বন্ধকুপে অপ্সরির চিৎকার যেমন কেও কখনো শুনতে পায়না তাদের চিৎকারও কখনো কারো কানে পৌঁছায় না...
অন্ধকারের চার দেয়ালে বাস করা একটি রুমের কোন এক ফোটা দিয়ে যদি একটি মানুষের চোখে একটু আলো গিয়ে পৌঁছায় তবে সে সে আলোর পিছেই দৌড়ায় !! ভালবাসা আর একাকীত্ব এক তৃষ্ণার্ত মানুষকে যদি কেও একটু ভালবাসার সোপান দেয় তবে সে একফোঁটা ভালবাসার জন্য সে পাগল কুকুরের মতই ছুটবে,এটাই স্বাভাবিক আর যে মানুষটি এ সোপান তাঁকে দিবে তাঁর জন্য এ মানুষগুলো যে কি না করতে পারে তা বোধয় বোঝানোর প্রয়োজন পরবেনা ?? আজ খুব বেশী একা হয়ে পড়েছি !! এমনিতেই আমি মানসিকভাবে একা একটা মানুষ কিন্তু আজ বড় বেশী একা হয়ে পড়েছি !! সবার সাথে বিছিন্ন হয়ে নিজেকে গুটিয়ে নেয়ার চেষ্টা আমার সর্বদা !! কারন আমি এতোটাই অভাগা যে কারো সাথে আমার যায়না !!
হা হা হা !!
মানে কেও আমাকে বেশিক্ষন সহ্য করতে পারেনা !! সেটা বাবা-মা-সপ্নপরী বা বন্ধুরাই হোক !! তাই একাই পথ বেছে নিতে হয় আমাকে ক্ষণে ক্ষণে !! এই একাকীত্ব আমার কখনই পিছ ছাড়বে না...
মাঝে মাঝে নিজেকে বড় পাপি মনে হয় !!
কিন্তু কি পাপ করেছি তা খুঁজে পাই না !!
হয়তো একা জন্ম নেয়াটাই একটা বড় পাপ ছিলো... আল্লাহ্‌ হয়তো এভাবেই সৃষ্টি করেছিলো আমাকে !!
 ঐ যে বললাম বাস্তব কষ্ট বা বাস্তবতা আসলেই অনেক বেশী কঠিন এবং কষ্টের !!

কই থেকে কই চলে গিয়েছিলাম !! কথা হচ্ছিলো বৃষ্টি নিয়ে আর ঝাপসা হয়ে আমি চলে গিয়েছিলাম আমার আবল-তাবল রাম কষ্টের গল্পও শোনাতে !!

রাতটা বেশ কাটলো আমার !! অবিরাম বৃষ্টি চলছেই...সব মিলিয়ে কেমন যেন লাগছিলো আমার !! বারান্দায় গিয়ে গ্রিল  ধরে দারালাম তখন দেখতে পেলাম বর্ষার অশান্ত বর্ষণ... নিতান্তই বৃষ্টি পড়ছে... এ থামার নয় !! থামেওনি...
আকাশটা পুরো ফ্যাঁকাসে সাদা মনে হচ্ছিলো। কালো মেঘগুলো  ভেসে যাচ্ছিলো আর ভয়ানক বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিলো একটু পর পর ।
আমি অবাক হয়ে বৃষ্টি দেখছিলাম !! আর বৃষ্টির ঝাঁপটা এসে নিতান্তই ভিজিয়ে দিচ্ছিলো আমার মুখখানি। ভালোই লাগছিলো ! একটু পর বুঝতে পারলাম বৃষ্টির জল আর আমার চোখের জল এক হয়ে মিশে যাচ্ছে...
ঠিক করলাম বৃষ্টি তে ভিজবো......

অনেকদিন পর অনেক্ষন রাতে বৃষ্টি তে ভিজলাম !! বৃষ্টি তে ভিজতে আমার অনেক ভালো লাগে কিন্তু আজ যেন মনে হচ্ছিলো কতদিন ধরে এই বৃষ্টি তে ভেজার অপেক্ষায় ছিলাম আমি। ক্যান এই অপেক্ষা আমার অজান্তেই আমার মনে তৈরি হয়েছিলো জানিনা। কিন্তু বৃষ্টির সাথে মিশে একাকার হয়ে নিজের কস্তগুলোকে বৃষ্টির সাথে ভাগ করতে পেরে বেশ প্রশান্তি লাগছিলো।

বৃষ্টির এক অদ্ভুত ক্ষমতা আছে ! যদিও বৃষ্টি দেখতে সবারই ভালো লাগে কিন্তু বৃষ্টি তে ভিজে ভিজে চোখ বন্ধ করে বৃষ্টির গান যারা আমার মতো অন্তর দিয়ে অনুভব করতে পেরেছে বা পারে তারাই বুঝতে পারবে বৃষ্টির প্রকৃত ভালোলাগা।
আধো ভেজা মনকে যখন বৃষ্টি পূর্ণভাবে ভিজিয়ে দেয় তখন অজান্তেই মনের কষ্ট গুলো চোখ বেয়ে বাহিরে নেমে আসে ঠিক যেমনি করে বৃষ্টি নামে এবং তা বর্ষণের সাথে বর্ষা হয়েই যোগ দেয়...
কিন্তু এই বর্ষণ কারো চোখে পড়ার মতো নয়। তাই ঐ বর্ষণ চাক্ষুস হলেও কারো বোধগম্য নয় । তাই বৃষ্টি তে ভিজে ভিজে বৃষ্টির সাথে নিজের সব কষ্ট গুলোকে উন্মুক্ত করার আনন্দ বর্ণনা করা সম্ভবপর নয় !!

তবে এ ভেজার মাঝে আরেকটি গোপন ভাললাগা কাজ করে আমার মাঝে !!
সপ্নপরী !!
আমাকে নিতান্তই ছুঁয়ে দিচ্ছিলো বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটা হয়ে...
তাই ভেজার সময় নিজের অন্তঃসত্ত্বা দিয়ে অনুভব করছিলাম আমি আমার অধরা কোনো মায়াবতী সপ্নপরী কে...... যাকে আমি পিচ্চি বলেই ডেকে থাকি !!

কারন সে আমাকে অনেক ভালবাসে যেভাবে বৃষ্টি তে ভিজে নিজের কষ্ট গুলোকে বিলিয়ে দিয়ে আত্মশুদ্ধি অনুভব করছিলাম ঠিক তেমনি এই সপ্নপরী যতক্ষণ আমায় ধরে থাকে পৃথিবীর সব কষ্টই আমার কাছে বেমানান লাগে......

কিন্তু একটা কথা বলতেই হয় এখানে...
“ প্রান পাখি মোর উইড়া যায়
  খাঁচা ছেড়ে......
  পিরীত বড় জ্বালারে...
  পিরীত বড় জ্বালা !! “

তাই সপ্নপরিও মাঝে মাঝে উড়ে যায়... আমার আকাশে আর দেখা দিতে চায়না...
তখন মেঘ কালো আষাঢ়ের আকাশই হয় আমার একমাত্র আশ্রয়... !!

“বৃষ্টি দেখে গাইছি এ গান, শুনছি বসে নিরবে বৃষ্টির কলতান
নেইকো তুমি কাছে মোর,ভাবছি বসে তোমায়
বৃষ্টি দেখে উড়ছেনা না মোর স্বপ্নের ভুবন
খুলে দিয়ে স্বপ্নের দ্বার, বৃষ্টি দেখে আমি
গাইছি একমনে তোমায় ভেবে গিটারের তালে এই গান
এলোমেলো এই আমি বৃষ্টি ছুঁয়ে দেখি
বৃষ্টির ছোঁওয়ায় পাই খুঁজে তোমার অনুভুতি
ঘোলাটে চোখে ভেসে ওঠো তুমি

বৃষ্টিতে ভিজে পার হয়েছিলাম মোরা যে পথ
সে পথে আজো আমি বৃষ্টি তে ভিজে হাটি
নেই তুমি পাশে মোর, বৃষ্টিতে আমি ভিজি

বৃষ্টি ভেজা আকাশ দেখে কাদি আমি চুপি চুপি
নেই তুমি পাশে তবু দিচ্ছোনা মুছে আখি
বৃষ্টি দেখে তাই আমি আঁকছি সে ছবি

শুনতে যদি চাও এ গান, শুনে রেখ বেশ
একবারই গাবো, একবারেই শেষ !!
বৃষ্টি দেখে গাইছি এ গান,বেসুরা তুমি ছাড়া আমি
গাইবোনা কো আর কখনো কোনো গান
যদি নরক বালক হয়ে ফিরে আসি !!!!!!!

-অবয়ব সিদ্দিকী মিডিয়া 



নরক থেকে বলছি !!

নরক বালক বলছি......

অনেক কস্ট হচ্ছে আমার। একি !! কি বলছি এসব ? নরক বালকের আবার কস্ট হয় নাকি ?? হঠাৎ করেই চারিপাশ এতো নিরব কেনো লাগছে ?
এতই নিরব যে একটা পিন এর আওায়াজও আমার কানে এসে লাগলে আমার মাথা টা ছিরে যাচ্ছে এমনটা মনে হচ্ছে... দেয়ালে কি ঘড়ি আছে ? তাহলে ঘরির কাঁটার শব্দ শুনছি আমি এতো জোরে জোরে? না !! আমার নিঃশ্বাসের শব্দ !! আরে নিশ্বাসের শব্দ কিভাবে শুনবো ? আমি কি বেঁচে আছি ? আমিতো মৃত !! আওায়াজ টা অনেক বেশী কষ্ট দিচ্ছে...

আমার চোখ দিয়ে রক্ত বইছে...কাঁদতে পারছিনা আমি... কেনো এমন হয় ?? নরক বালক হয়ে নরকটাকে গুছিয়ে নিয়েছিলাম আমি... কিন্তু সে নরকো আজ বড় অচেনা লাগছে  !! নিজেকে চিনতে পারছিনা আমি... অশ্মরীর কান্না দেখেছো কখনো ?? কখনো কোনো নরক বালকের হাহাকার শুনেছো কান পেতে ? পারবেনা শুনতে... সে ক্ষমতা তোমাদের নেই......।।  তোমরা কি বুঝো আয়নায় নিজের চেহেরা দেখতে গেলে তোমরা নিজের মুখোশ যখন দেখো অথচ  একবারো নিজের অন্তঃসত্ত্বা টের পাওনা !! যদি টের পেতে তাহলে বুঝতে !!

চারিপাশে এতো রক্ত কেনো আমার ? মুখোশ পড়া পিশাচ গুলো ধেয়ে আসছে  আমার দিকে... ওরা আমাকে অনেক কুৎসিত ভাবে কামড়ে খাবে... নঘ্ন করে আমার শিরায় শিরায় কামড়ে আমাকে ছিরে ছিরে টুকরো করে দিবে... খুব কষ্ট হবে আমার... নরকের কষ্ট নতুন কিছুনা আমার কাছে... কিন্তু আমি কোনো অনুভুতি পাচ্ছিনা কেনো আজ ? এতদিন তবু অনুভুতি ছিলো !! কষ্ট হত যখন ওরা আমাকে ছিরে ছিরে হিংস্র হায়নার মতো বাঁ পাগল কুকুরের মত খেতো !! তাহলে কি অনুভুতি শুন্য হয়ে গেলাম ? জন্যই কি অচেনা লাগছে সব কিছু !! নরক টা কেও ঘোলাটে লাগছে !! কিন্তু নরকের কষ্ট টা অনেক বেশী তীক্ষ্ণ !!

একটা তীক্ষ্ণ সুই এর মত করে মাথার মধ্যে কিছু একটা খুব বেশী কষ্ট দিচ্ছে !! কষ্ট হচ্ছে বুঝতে পারছি কিন্তু কোনো অনুভুতি হচ্ছেনা !! আবার নরকের কোন রুপ ? নরক রুপ পাল্টায় ক্ষণে ক্ষণে জানি ! তবে এমনটা নতুন !! সব কিছু ঘোলাটে হয়ে যাচ্ছে... চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে...

আচ্ছা !! আমিতো মরে গিয়েছি !! আমার শরীর বলতে কিছু নেই !! সত্ত্বাও নেই !! তবে আমি কি ? বেঁচেও নেই !! তাহলে এগুলো কি হচ্ছে ?? আমি কি বেঁচে আছি তাহলে ? বেঁচে থাকলে তো অন্য রকম হওয়ার কথা ছিলো !!

নরকে তো অনেক আগে থেকেই আছি... তবে এতটা অচেনা তো কখনো মনে হয়নি !! তার মানে কি আমার সত্ত্বা বাঁ সত্ত্বার সঙ্গিনী হয়ে কেও আমাকে ছুঁতে চেয়েছিলো বাঁ ছোঁওয়ার চেষ্টা করেছিলো !!?? হয়তো ছুঁতে চেয়েও ছুঁতে পারেনি !! পারবে কি করে ?? কি আর সম্ভব ? নরকে বাস করা কোনো বালক কে কি কখনো ছোঁওয়া যায় ? যায়না !!

জন্যই আমার নরকটা অনেক অচেনা লাগছে... মুখোশ দিয়েও ঢাকতে পারছিনা আমি আমার মুখমণ্ডল !! কারন আমি নরক বালক হতে পারি মুখোশধারি কোনো মুখোশ আত্মা না !!

পিশাচ গুলো আমাকে কামড়ে খাচ্ছে !! কোনো অনুভুতি হচ্ছেনা !! শুধু রক্ত দেখছি... আর ঘোলাটে হয়ে ঝাপসা হয়ে আসছে আমার নরক !! কষ্ট পাচ্ছি শুধু একটি তীক্ষ্ণ সুইয়ের মত শব্দ খুব বাজে ভাবে মাথায় আক্রমন করছে... কানে হাত দিয়েও আওয়াজ টা থামাতে পারছিনা অথচ প্রথমেই বলেছি নরক টা আজ অনেক নীরব !!! শুধু এই আওয়াজ টা থেমে গেলেই হয়তো নরকে শান্তি না থাকলেও চোখটা বুঝতে পারতাম আর মুক্তি মিলতো আমার !! মুক্তি !!?? হা হা হা হা হা...... আমি চাচ্ছি মুক্তি !!??

সপ্নপরী !!

অনেক ধন্যবাদ তোমাকে, জানি তুমিই ছুঁতে চেয়েছিলে আমাকে !! অনেক ধন্যবাদ তোমাকে কিছুদিনের জন্য আমাকে নরক থেকে বের করে নেয়ার তোমার সবটুকু চেষ্টা করার জন্য !! আসলে তোমার কোন ভুল বা দোষ নেই... আমার জায়গা এই নরকেই... এখান থেকে বের হওয়া আমার সম্ভব না। তুমি তো সপ্নপরী ছিলে আমার যখন স্বপ্নরাজ্য বলতে কিছু ছিলো !! এখন তো আর সপ্ন নেই সেই রাজ্যও নেই তাই তুমিও আসতেও পারবেনা !! কারন যে সপ্নপরী সে নরক বালক কে ছুঁতে পারবেনা এটাই স্বাভাবিক !! তবুও তুমি আমার সপ্নপরী ছিলে তাই হয়তো আমার সত্ত্বাও হার মেনে ছিলো তোমার কাছে এবং দূর থেকেই হোক আর ভিশন কাছ থেকেই হোক তুমি আমাকে ছুঁয়ে দিয়েছিলে তাই হয়তো পেরেছিলে নরক থেকে বের করে নেয়ার চেষ্টা করতে !! তাই  আজ নরক হঠাৎ করেই অচেনা লাগছিলো আমার কাছে !!

সপ্নপরী, ভালো থেকো তুমি !! আগুনে পুরে ঝলছে যাচ্ছি আমি... হারিয়ে যাবো নরকের অন্য কোনো গহব্বরে হয়তো আবার খুব শিগ্রই !! ভালো থেকো... নরকে চোখ বুঝতে চাই আমি... সম্ভব একমাত্র তোমার ভালো থাকার মাঝেই !! জানি অনেক ভালোবাসো তাই আমার চোখ বুঝতে দেয়াটাও তোমার হাতেই এখন !! Sorry !! নরক বালক হয়ে তোমাকে কষ্ট দেয়ার জন্য !!

তীক্ষ্ণ সুইয়ের মত শব্দ টি খুব বাজে ভাবে মাথায় আক্রমন করছে... কানে হাত দিয়েও আওয়াজ টা থামাতে পারছিনা শুধু এই আওয়াজ টা থেমে গেলেই হয়তো নরকে শান্তি না থাকলেও চোখটা বুঝতে পারতাম...... আমার চোখ বুঝতে দেয়াটাও তোমার হাতেই এখন...


-অবয়ব সিদ্দিকী মিডিয়া